জুলাইয়ে শুরু হচ্ছে ঢাকা-সিলেট ৬ লেন সড়কের কাজ
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তায় ঢাকা-সিলেট ছয় লেন সড়কের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ আগামী জুলাই থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার সচিবালয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কিছু প্রজেক্ট নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলেন। এর মধ্যে আমাদের সাসেক (সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনোমিক কো-অপারেশন) প্রজেক্ট, ঢাকা-এলেঙ্গা প্রজেক্টটির (সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্পের আওতায়) ওপেনিং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ওটার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইম্পর্ট্যান্টলি যেটা আলাপ হয়েছে- সেটা হলো, ঢাকা-সিলেট চার লেন প্রজেক্ট নিয়ে। আসলে দুটো সার্ভিস লেনসহ এটা সিক্স লেন প্রজেক্ট হবে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চের মধ্যে আমাদের এ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) প্রণয়নের কাজ শেষ হবে। এরপর কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। প্ল্যানিং কমিশনে যাবে, প্ল্যানিং কমিশনের অনুমোদনের পর আমরা আশা করছি পরবর্তী জুলাই থেকে ফিজিক্যাল কনস্ট্রাকশন শুরু করা যাবে।’
‘ঢাকা-সিলেট সিক্স লেন, এটা অলমোস্ট এক্সপ্রেসওয়ে। এটা হবে ২০৯ কিলোমিটার। এতে ফ্লাইওভার থাকবে আটটি, ওভারপাসেস থাকবে ২২টি। রেল ওভারপাস থাকবে পাঁচটি, ব্রিজ থাকবে ৬৯টি। আন্ডারপাস থাকবে ১০টি, ফুটওভার ব্রিজ থাকবে ২৯টি। এই হলো টোটাল প্রোপজ প্রজেক্ট।’
তিনি বলেন, ‘এডিবি বলেছে, আমরা কেনাকাটার অনুমোদন দিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আপনাদের প্রসেস শেষ করে কেনাকাটা শুরু করতে পারেন। ফান্ডিংয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই।’
ঢাকা সিলেট ৬ লেন প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকা (দুই বিলিয়ন ডলার) ধরা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘ফান্ডিংটা ম্যাক্সিমামই এডিবি করবে।’
কাজ শেষ করতে কত সময় লাগবে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘আজ কোনো কোনো মিডিয়ার রিপোর্টে আমরা দেখতে পেলাম, এডিবি এই প্রজেক্ট থেকে এই এই কারণে সরে যেতে পারে। আমি তাকে (কান্ট্রি ডিরেক্টর) এটাও জিজ্ঞাসা করেছি। তিনি ব্যাপারটি হেসেই উড়িয়ে দিলেন। বলেছেন, এই রকম কোনো চিন্তাই আমাদের নেই।’
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টরের সঙ্গে সাসেক-২ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যেটা এলেঙ্গা থেকে রংপুর, আটটির মধ্যে সাতটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর সাসেক-৩ যেটা, সেটাও আলোচনায় এসেছে। সেটা হবে রংপুর থেকে বুড়িমারী, একদিকে; অন্যদিকে রংপুর থেকে গাইবান্ধা।’
‘এরপর এডিবি বাংলাদেশের ফরিদপুর-বরিশালে (সড়ক) ফান্ডিং করার কথা ভাবছে। এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক এক্সপ্রেসওয়ের পরিবর্তে রেলওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এটার সম্ভাব্যতা যাচাই হয়ে গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
ছয় লেনের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়ার জন্য সেনাবাহিনী সময় চেয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মার্চ মাসের মধ্যে এটা খুলে দেয়া হবে।’
আরএমএম/এমএআর/এমএস