ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সুন্দরবন রক্ষায় অভিযাত্রা ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর

প্রকাশিত: ০১:৫১ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৫

সুন্দরবনের কাছে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ বাতিলের দাবিতে সুন্দরবন রক্ষা অভিযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)। আগামী ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর এই অভিযাত্রা চলবে।

বুধবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তিভবনে সিপিবি-বাসদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই কমসূচি ঘোষণা দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স।

সংবাদ সম্মেলনে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সুন্দরবনের কাছে বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ ও অবৈধ স্থাপনা বন্ধের দাবি জানান। তিনি এসব প্রকল্পের লাভ ক্ষতি বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বা তার প্রতিনিধিদের উন্মুক্ত বিতর্কে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শুধু আমরা নই দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই প্রকল্পের ক্ষতি তুলে ধরছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ রক্ষায় পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা আশা করব তিনি সুন্দরবনের কাছের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসমূহ বাতিল করে সুন্দরবন রক্ষায় দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। তিনি সুন্দরবনসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার জনমত উপেক্ষা করে ইতোমধ্যেই ওই অঞ্চলে জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটসহ অন্যান্য যেসব কাজ করছে তাতে দুর্নীতি অভিযোগ সামনে চলে এসেছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ তাদের জীবন জীবিকা থেকে বঞ্চিত হবে।

সম্মেলনে নেতারা আরো বলেন , বিদ্যুৎ আমাদের চাই। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে যদি পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে সেই বিদ্যুৎ কার কাজে লাগবে? তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির হিসাব অনুযায়ী, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে অতিরিক্ত দামে বিদ্যুৎ কিনতে গিয়ে ৩০ বছরে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে পরিবেশগত ক্ষতি হবে অপূরণীয়। ৫ লাখ মানুষের জীবিকা আর কোটি কোটি মানুষের আশ্রয় বাসস্থান ধ্বংস হবে। লাভ কার হবে? লাভ হবে এনটিপিসির, বিদ্যুৎ ব্যবসায়ীদের, বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী কারখানা মালিকদের।

এএম/জেডএইচ/পিআর