ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে অনন্য উদাহরণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

দারিদ্র্য বিমোচনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেছেন, শতভাগ দারিদ্র্য দূরীকরণসহ নিম্ন আয়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সরকার নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে। নিয়েছে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বেশ কিছু পদক্ষেপ। সে কারণে ধারাবাহিকভাবে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ দারিদ্র্য বিমোচনে বেশ সফলতা অর্জন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের সাথে সাথে বেড়েছে মানুষের মাথাপিছু আয়। জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার হার ও গড় আয়ুও বেড়েছে। আর দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সদস্য (এমপি) এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।

এম এ মান্নান সংসদে বলেন, দেশে ২০০০ সালের খানা (একই রান্নায় খাওয়া এবং একসঙ্গে বসবাস) আয়-ব্যয় জরিপে দারিদ্র্যের হার ছিল ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ, ২০০৫ সালে সেটি কমে আসে ৪০ শতাংশে। ২০১০ সালে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশে, ২০১৬ সালে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে এবং ২০১৯ সালে তা কমে আসে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। চরম দারিদ্র্য হ্রাসের চিত্রও একই। ২০০০ সালে হতদরিদ্র জনগোষ্ঠী ছিল ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৫ সালে তা কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ১ শতাংশ, ২০১০ সালে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশে, ২০১৬ সালে ১২ দশমিক ১ শতাংশে এবং ২০১৯ সালে তা কমে আসে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’কে সামনে রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘমেয়াদী রূপকল্প হিসেবে বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০- ২০২১) প্রণয়ন করে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১)-এর উন্নয়ন ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তরের লক্ষ্যে মধ্যমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-১৫) এবং সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০) গ্রহণ করা হয়। যষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন শেষে বর্তমানে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সরকার গৃহীত এসব পরিকল্পনায় দারিদ্র্য বিমোচনে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, সর্বোচ্চ কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দারিদ্র্য নিরসনের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কর্মকৌশল, নীতি এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ‘রূপকল্প- ২০৪১’ প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’-এর অভীষ্ট লক্ষ্য হচ্ছে, চরম দারিদ্র্যের হার (বর্তমানে থাকা) ১০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২০৩১ সালে শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার মাধ্যমে এর পূর্ণ অবসান এবং ২০৪১ সালের মধ্যে মধ্যম দারিদ্র্যের হার ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা।

এম এ মান্নান বলেন, দারিদ্র্য হাসে গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত গতিশীলতা এবং হতদরিদ্রদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতি দরিদ্র ও দুঃস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ, জিআর কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাস্তবায়ন হচ্ছে সরকার উদ্ভাবিত আমার বাড়ি আমার খামার, আশ্রয়ণ, গৃহায়ণ, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম, ঘরে ফেরা প্রভৃতি কর্মসূচি। পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ভিজিডি, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা, দুস্থ নারী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার, সহায়তা, চর জীবিকায়নসহ প্রভৃতি কর্মসূচিও বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এইচএস/এইচএ/এমকেএইচ