ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

তরুণরা পথ হারালে দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

শুদ্ধি অভিযানের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুনিশ্চিত হওয়ার পরই অভিযান চালানো হবে।

তিনি বলেন, ‘মাদক একটি ভয়ংকর নেশা। যিনি একবার এ নেশায় আসক্ত হবেন তিনি আর বের হতে পারেন না। মাদক সর্বনাশা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম (তরুণ) যাতে মাদক ও জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেটি নিয়ে কাজ করছি। তারা পথ হারালে এই দেশ অন্ধকারে তলিয়ে যাবে।’

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পতেঙ্গা র‌্যাব-৭ সদর দফতরে আয়োজিত মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে অনুষ্ঠানে ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে উদ্ধার ৩৭০ লিটার কোকেন ধ্বংস করা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ কোকেনের চালানটি ধরতে র‌্যাবের ভূমিকা ছিল অনন্য। কোকেনের চালানটি সর্বপ্রথম র‌্যাব শনাক্ত করে। পরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তা আটক করা হয়। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশকেই আমরা শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছি। এর মূলহোতারা জেলে।’

তিনি বলেন, ‘কোনোভাবেই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশনার কারণে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্ত অবস্থানে আছি।’

এর আগে মাদক ধ্বংস ও মাদকবিরোধী প্রচারণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশগুলোর বাস্তবায়ন করা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল- জঙ্গিবাদ নিয়ে, আমরা জঙ্গিবাদ দমন করেছি। এখন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। আমরা মাদকের তৎপরতা বন্ধে তিন ভাগে কাজ শুরু করেছি।’

kamal-2.jpg

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সুন্দরবন একসময় জলদস্যু, বনদস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। কোনো পর্যটক, স্থানীয় জেলে সুন্দরবনে যেতে পারতেন না। কিন্তু র‌্যাবের প্রচেষ্টায় এখন সুন্দরবন জলদস্যু-বনদস্যুমুক্ত হয়েছে। শত শত জলদস্যু-বনদস্যু আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।’

কক্সবাজারে ইয়াবার প্রবেশ রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘দেশে ইয়াবা প্রবেশের প্রধান রুট কক্সবাজার। সেখানেও র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় তা কমে এসেছে। শুধু র‌্যাব নয়, সেখানে আমরা কোস্টগার্ড-বিজিবিকে শক্তিশালী করেছি। যে পর্যন্ত এর শেষ দেখছি না, আমরা ক্ষান্ত হবো না। আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধ্বংস হতে দেব না।’

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে মাদক ধ্বংস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, মো. হাবিবুর রহমান, মো. ফরিদুল হক খান, পীর ফজলুর রহমান, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ, র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী, বিভিন্ন সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এক হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী বই বিতরণ করা হয়। পরে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান র‌্যাব সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপরেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার।

আবু আজাদ/এফআর/এমএস