ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইভিএমে জালিয়াতি এত সহজ নাকি?

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংরক্ষিত হলেও কেন্দ্রে গিয়ে ভোট জেনারেট বা আঙুলের ছাপ দেয়ার পর আরেকজন ভোট দেয়ার সুযোগ থাকে। ইভিএমে এমন জালিয়াতি হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘এত সহজ নাকি! এত সহজ! প্রশ্নই ওঠে না। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগে যখন ব্যালটে ভোট হতো, তখন ছিনতাই করে নিলে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত। কিন্তু ওইরকম করা কি সম্ভব? ইভিএম এমন একটা জিনিস, যেখানে ভোটারকে কেন্দ্রে যেতে হবে। এটা আমাদের অর্জন। আগে ভোটার যেত বা না যেত, ভোট হয়ে যেতে পারত। এখন আর সেই সুযোগ নেই।’

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, তারা কোনো এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কমিশনের পদক্ষেপ কী থাকবে?

কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রথমে আমার এজেন্টদের প্রতি অনুরোধ, তারা দায়িত্ব নিয়ে যেন সেখানে থাকেন। একজন বলল, আর বের হয়ে যাবেন, সেটা যেন না করেন। এ ধরনের ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। যদি ঘটেও, সঙ্গে সঙ্গে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সাহায্য নেবে। সুতরাং এ ধরনের ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। যদি নিজে থেকে বেরিয়ে না যায়, তাহলে এজেন্টদের সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘তবে অনেক সময় এজেন্ট না জানিয়ে বেরিয়ে যায়। এরকম অনেক সময় হয়। তখন বলে যে, আমাদের এজেন্ট নেই বা বের করে দিয়েছে। এরকম করলে তো হবে না।’

নির্বাচনী এজেন্টদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলেছেন বলেও জানান সিইসি। তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি থাকে। অভিযোগ করলেও যদি না শোনে তাহলে আমাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। রিটার্নিং অফিসারের কাছে জানাতে হবে। নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত আসার দরকার নেই, রিটার্নিং কর্মকর্তাই যথেষ্ট।’

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি শেষ জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছি। আমি নির্বাচন সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম দেখেছি। টেলিফোনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) পক্ষ থেকে কোনো রকমের অসুবিধা নেই। নির্বাচনের মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে  বোধ হয় পৌঁছে গেছে। তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে কোথাও কোনো রকমের আশঙ্কা নেই।’

নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে, অবাধে ভোট দেয়ার জন্য চলে আসবে। অসুবিধা থাকার কথাও না। নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় ভোটার-সমর্থকরা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে, এতে ভোটের একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আমরা সবসময় বলি, নির্বাচন যদি প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তাহলে নির্বাচনের পরিবেশ উন্নততর হয়। সেই পরিবেশ এখন বিরাজমান আছে।’

উল্লেখ্য, আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

পিডি/এফআর/পিআর