করোনাভাইরাস আক্রান্ত স্থান থেকে আগতদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশ বা স্থান থেকে যারা বাংলাদেশে আসবেন তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এই ভাইরাসের উৎপত্তি দেশ চীনে আটকেপড়া বাংলাদেশিদের এখনই ফেরত আনা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের তৃতীয় ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালা শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমরা একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছি। চীন বা দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যারা বাংলাদেশে আসবে তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন প্রকল্পে বহু চীনা নাগরিক কাজ করলেও তাদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হলে তারা বিপজ্জনক নয় বলে মনে করেন ড. মোমেন।
চীন ভ্রমণে কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এ মুহূর্তে বাংলাদেশিদের চীন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছি। যদিও কোনো রেস্ট্রিকশনও দেইনি। তবে আমরা সতর্ক থাকব।
চীনে আটকেপড়া বাংলাদিশদের বিষয়ে তিনি বলেন, চীন সরকার রাজি না হলে বাংলাদেশিদের ফেরত আনা সম্ভব নয়।
ড. মোমেন বলেন, চীনের উহান যেখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে সেখানে আমাদের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী থাকেন। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। তাদের ফেরাতে বিমানও প্রস্তুত করেছি। চীনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা জানিয়েছে এখনই তাদের আসতে দেবে না। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, উহানে এখন সবকিছু বন্ধ। কাউকে কোথাও যেতে দেয়া হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ মার্কেটে নিয়ে যায় আবার নিয়ে আসে। চীন বলছে, ১৪ দিন তারা কোনো দেশের লোককে ওই এলাকা ছাড়তে দেবে না। ভারত-আমেরিকাও নিজেদের নাগরিকদের ফেরত নেয়ার আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু তাদের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।
ড. মোমেন বলেন, আমরা একটা ওয়েবপেজ করেছি। তাতে প্রায় ২৪৫ জন শিক্ষার্থীর সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আর কী কী করা যায় সে ব্যাপারে সজাগ আছি আমরা।
তাদের চীন থেকে ফেরত আনা হলেও পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেই। কী করতে হয় আমরা জানি না। এই না জানা থেকে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছি।
জেপি/বিএ/পিআর