মানি লন্ডারিং আইন অধ্যাদেশ আকারে অনুমোদন
মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন, ২০১৫’ অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটি ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০১৫’ নামে জারির অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, বর্তমানে সংসদ অধিবেশন না থাকায় এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সংসদ অধিবেশন বসলে এটি আইন আকারে পাস হবে। এর আগে গত ১৭ আগস্ট এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাবিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইনে দ্বিগুণ অর্থদণ্ড ও যৌথ তদন্তের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, সংশোধিত আইনে সরাসরি দুর্নীতি এবং ঘুষের তদন্ত করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনকে। অন্যান্য অপরাধ তদন্ত করবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তদন্ত দল।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। সরকারের নিযুক্ত ব্যক্তি এর প্রধান হবেন। তিনি চার বছরের জন্য নিযুক্ত হবেন। সরকার ইচ্ছা করলে পরে বিএফআইইউ প্রধানের মেয়াদ নবায়ণ করতে পারবে। অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োগ দেবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বাইরে থেকেও বিভিন্ন সংস্থা থেকে ডেপুটেশনে সরকার লোক পাঠাবে।
বর্তমান আইনে শাস্তির বিধান বাড়িয়ে ৪ থেকে ১২ বছর করা হয়েছে। তবে মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির কমপক্ষে দ্বিগুণ অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা, সংশোধিত আইনে অর্থদণ্ড ১০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লাখ টাকার বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এসএ/জেডএইচ/আরএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ