হাজিদের তোপের মুখে বিমানমন্ত্রী
ফিরতি ফ্লাইটে বিমান বন্দরে আটকা পড়া ভুক্তভোগী হজযাত্রীদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। রোববার সকালে বিমান বন্দরের অভ্যন্তরে হজ ব্যবস্থাপনা দেখতে গিয়ে মন্ত্রী এ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী, বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি এএম মোসাদ্দেক আহমেদসহ সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জেদ্দা এয়ারপোর্টে বিমানের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে রোববার ভোরে অবতরণ করা বিমানের ৯ শতাধিক হাজি বেলা ১১টা পর্যন্ত তাদের মালামাল বুঝে পাননি। এসময় বিমানবন্দর পরিদর্শন করতে আসা বিমানমন্ত্রী হাজিদের তোপের মুখে পড়েন। বিক্ষুব্ধ হাজিরা মন্ত্রীকে জানায়, জেদ্দা বিমানবন্দরে তাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে।
সকালে বিমানের বিজি-২০২৪ ফ্লাইটে এসে বিমান বন্দরে লাগেজের জন্যে অপেক্ষা করছিলেন উত্তরার আব্দুল্লাহ আল-মামুন। দায়িত্বশীল বিমানমন্ত্রীকে নাগালে পেয়ে তিনি বলেন, জেদ্দা বিমান বন্দরে এনে আমাদের ২৪ ঘণ্টা না খাইয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। বিমানের কেউ খবর নেয়নি। জেদ্দা এয়ারপোর্টে বাংলাদেশের হজ মিশন ও আমার মোয়াল্লেমকে পাওয়া যায়নি।
জয়নাল আবেদিন ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম বিজি-২০১৮ ফ্লাইটে জেদ্দা থেকে এসেছেন ১ অক্টোবর। ৪ দিনেও তার লাগেজের হদিস দিতে পারেনি বিমান কর্তৃপক্ষ। বিমান বন্দরে ৪ দিন ধরে হন্য হয়ে ঘুরছেন তিনি। জয়নাল আবেদিন এ বিষয়ে সরাসরি মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে মন্ত্রী বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি মোসাদ্দেককে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।
চাঁদপুরের বাসিন্দা আওলাদ হোসেন পাটোয়ারি জেদ্দা থেকে এসেছেন বিজি-৪০২৪ ফ্লাইটে। হাজি আওলাদ হোসেন পাটোয়ারি জানান, বিমানের সেবা খুবই নিম্নমানের। বোর্ডিং কার্ড প্রদান থেকে লাগেজ ডেলিভারি সর্বত্র ছিল বিড়ম্বনা।
হাজিদের এমন অন্তহীন অভিযোগ ও তোপের মুখে রাশেদ খান মেনন এর কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেন বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি এএম মোসাদ্দেক আহমেদকে। তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর মেহমান হাজিদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আন্তরিকভাবে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আহসান হোসেন কাজী নামে একজন জিএমকে সমস্যা সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছে।
আরএম/জেডএইচ/আরআইপি