ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের অনশন চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ০৭ জানুয়ারি ২০২০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার বিচার চেয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজু ভাস্কর্যে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। দর্শন বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের কয়েকজন শিক্ষার্থী ধর্ষকের বিচারের দাবিতে সোমবার (৬ জানুয়ারি) এখানে অনশন শুরু করেন। দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন পালন করছেন তারা।

অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ডাকসুর সদস্য এবং তথ্য ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, সিফাতুল ইসলাম, মৃত্তিকা এবং পানি ও পরিবেশ বিভাগের সাইফুল ইসলাম রাসেল।

সিফাতুল ইসলাম বলেন, আমাদের বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার প্রতিবাদে আমরা দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন পালন করছি। আমরা দ্রুত ধর্ষকের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

গত রোববার (৫ জানুয়ারি) কুর্মিটোলা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বাস থেকে নামার পর ধর্ষণের শিকার হন ঢাবি শিক্ষার্থী। তিনি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ নামের দোতলা বাসে (ঢাবি-টঙ্গী রুট) বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে ওই ছাত্রীকে একজন ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

Rape-DU-1

ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। দুপুরে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, ডাকসু ভিপি মানববন্ধন করেন।

ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ভিপি নুরুল হক নুর। ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবিতে সোমবার রাতেও ক্যাম্পাসে সরব দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।

সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদী গান-কবিতার সমাবেশ এবং মোমবাতি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান নিতে দেখা যায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের।

সবার একটাই দাবি, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক, তাদের চিহ্নিত করে দ্রততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ধর্ষণের ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে থেকে শেওড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের পাশে কোনো দোকানপাট কিংবা মানুষের বিচরণ নেই। এর মধ্যে কুর্মিটোলা থেকে আর্মি গলফ ক্লাবের প্রবেশ মুখ পর্যন্ত ফুটপাতের পাশ কৃত্রিম ঝোপঝাড়ে ভরা।

দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করার কারণে ফুটপাত থেকে ঝোপের ভেতরে কিছু দেখা যাচ্ছে না। ব্যস্ত সড়কে একের পর এক গাড়ি ছুটতে থাকায় উচ্চ শব্দের কারণে ঝোপের ভেতরে চিৎকার করলেও তা কারও শুনতে পাওয়া কঠিন।

এমএএস/এআর/এসআর/পিআর