ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যুদ্ধাপরাধের দায়ে জাতীয় পার্টির এমপি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১১:১৩ এএম, ০১ অক্টোবর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

রাজধানীর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, চলতি বছরের ১৯ মে ময়মনসিংহের ত্রিশালের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন বাদী হয়ে এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এরপর আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠান। এ মামলায় জামায়াত নেতা ফকরুজ্জামান ও শহরতলি গলগণ্ডা এলাকার গোলাম রব্বানী নামের আরো দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ১৯৭১ সালে আবদুল হান্নান (এম এ হান্নান) ময়মনসিংহ জেলা শান্তি কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীকে সক্রিয় সহায়তা করেন। এবং ফকরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানী আলবদর বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য এবং হান্নানের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব নেন।

১৯৭১ সালের ৯ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানকে আবদুল হান্নান ও তার সহযোগী রাজাকারদের সহযোগিতায় গৌরীপুর থানার ভাঙনামারী চর থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসে। পরে ময়মনসিংহ শহরের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় টর্চার সেলে প্রকাশ্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রহমানের দুই চোখ উপড়ে ফেলে ডান হাত ভেঙে দিয়ে এম এ হান্নান গুলি করে হত্যা করেন।

পরে আসামিরা সহযোগী রাজাকারদের নিয়ে আবদুর রহমানের বাড়ি লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। মামলার বাদী আরো উল্লেখ করেন, এসব আসামি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার মাইজপবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান আতাকে ধরে নতুন বাজারে এম এ হান্নানের নিজ বাসায় বায়োনেট চার্জ করে অমানুষিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেয়।

তারা নিজেরা ও তাদের রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ময়মনসিংহ অঞ্চলে ব্যাপক গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বলে মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়।

এআর/এএম/এসকেডি/পিআর