ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘যাচাই-বাছাই ছাড়াই তালিকাটি প্রকাশ করেছিলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:১১ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

বিতর্কের মুখে রাজাকারের তালিকা স্থগিতের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই ছাড়াই তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এ-সংক্রান্ত দলিলপত্র বিকৃতির (টেম্পারিং) বিষয়টি বিবেচনায় নেননি বলে হোঁচট খেতে হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।

বিজয় দিবসের আগের দিন রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে ঘোষিত তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর ও ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপুসহ রাজশাহীর আরও দুই ব্যক্তির নাম রয়েছে ওই তালিকায়, যারা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ছিলেন বলে প্রমাণ রয়েছে। এ নিয়ে সারাদেশে সমালোচনা শুরু হয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজাকারের তালিকাটি প্রত্যাহার করেছি। আগামী বছরের ২৬ মার্চ আমরা পরিপূর্ণ তালিকা প্রকাশের জন্য কাজ করব। তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে যেসব এলাকা বাদ গেছে, সেসব এলাকা বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রকাশিত তালিকাটি আংশিক ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যাচাই-বাছাই ছাড়াই তালিকাটি প্রকাশ করেছিলাম। সেখানে যেহেতু ভুল ধরা পড়েছে, সেজন্য এটি প্রত্যাহার করা হলো।’

‘কোন পরিস্থিতিতে রাজাকারের তালিকাটি যাচাই-ছাড়াই প্রকাশ করতে হলো’-জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘যারা এটা রেখে গেছে, তারা হয়তো সঠিকটাই রেখে গেছে-এই আত্মবিশ্বাসে। মাঝখানে যে অন্যরা ক্ষমতায় ছিল, এর মধ্যে যে টেম্পারিং হতে পারে, এটা আমাদের বিবেচনায় ছিল না। এটা আমাদের নির্বুদ্ধিতা। বোকামি হলো এটা যে, তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল, তারা যে ম্যানুপুলেট করতে পারে, টেম্পারিং করতে পারে, সেটা বিবেচনায় নেইনি বলেই আমাদের এই হোঁচট খেতে হয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যাই হোক, চলার পথে এটা হতেই পারে। আমরা এখন থেকে সতর্ক হয়ে গেলাম।’

পরে বুধবার রাতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তিকমিটি ও স্বাধীনতাবিরোধী ১০ হাজার ৭৮৯ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকা প্রকাশের পর বিভিন্ন মহল থেকে অভিনন্দিত করা হয়েছে। আবার তালিকায় কিছু ভুল-ত্রুটির জন্য তীব্র সমালোচনাও হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির মধ্যে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেজন্য রাজাকারের প্রকাশিত তালিকা স্থগিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ তালিকা যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশনা দিয়েছেন। কী প্রক্রিয়ায় দ্রুততম সময়ে দেশব্যাপী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে প্রকৃত তালিকা প্রকাশ করা যায়, সে ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন।

আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এ তালিকা প্রকাশের প্রচেষ্টা থাকবে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

আরএমএম/এসআর/এমএস