দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ হবে
রাজধানীর নির্দিষ্ট এলাকায় সৃষ্ট পয়োবর্জ্য পরিশোধন করে বালু নদীতে নিষ্কাশিত হওয়ার মাধ্যমে পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার প্রকল্পের মাধ্যেমে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
বুধবার আফতাবনগর সংলগ্ন দাশেরকান্দি এলাকায় চলমান প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এ সময় প্লান্টের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন বাংলাদেশি ও চীনের প্রকৌশলীরা।
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ওয়াসা। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হাইড্রো-চায়না’।
ঢাকার পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে একই পাইপলাইনে নিয়ে আসতে চীন সরকারের সহযোগিতায় ঢাকা ওয়াসার ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নাধীন মহাপ্রকল্পের অংশ হিসেবে দাশেরকান্দির এ পয়োশোধনাগার প্রকল্প নির্মিত হচ্ছে। ৩ হাজার ৩৭৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ২৪ হেক্টর জমির ওপর বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পে দৈনিক ৫০ কোটি লিটার পয়োবর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে ৫০ লাখ নগরবাসীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
ঢাকা ওয়াসারা প্রণীত সোয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ঢাকা শহরের অভ্যন্তরে পাগলা, দাশেরকান্দি, রায়েরবাজার, উত্তরা ও মিরপুর এলাকায় মোট ৫ টি পয়োশোধনাগার নির্মাণের ব্যবস্থা রয়েছে। সেই অনুযায়ী দাশেরকান্দি পয়োশোধনাগার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ চলছে। এর মাধ্যমে গুলশান, বনানী, বারিধারা ডিওএইচএস, বসুন্ধরা, বাড্ডা, ভাটারা, বনশ্রী, কুড়িল, সংসদ ভবন এলাকা, শুক্রাবাদ, ফার্মগেট, তেজগাঁও, আফতাবনগর, নিকেতন, সাঁতারকুল, হাতিরঝিল ও আশপাশের এলাকার সৃষ্ট পয়োবর্জ্য পরিশোধন করে বালু নদীতে নিষ্কাশিত হওয়ার মাধ্যেমে পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকাকে দৃষ্টিনন্দন শহর হিসেবে গড়ে তুলতে নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তবে রাতারাতি সব বদলে ফেলা সম্ভব নয়। এজন্য কিছুটা সময় লাগবে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির মাধ্যমে বায়ু দূষণ হয়, বছরের প্রায় সময় এসব কাজ চলতে থাকে। এমন যেন আর না নয় সে লক্ষ্যে আমরা মাস্টার প্ল্যান নিয়েছি।
প্রকল্প পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসকিম এ খানসহ চায়না ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এনএফ/জেআইএম