শহীদ মিনারে অজয় রায়কে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা
একুশে পদকপ্রাপ্ত পদার্থবিজ্ঞানের বরেণ্য অধ্যাপক অজয় রায়কে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সর্বসাধারণ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বেইলি রোডের বাসায়।
সেখানে ছেলে অনুজিৎ রায়, পুত্রবধূ কেয়া বর্মণসহ স্বজন, প্রতিবেশী ও গুণগ্রাহীরা অশ্রুসজল হয়ে পড়েন। এখান থেকে অজয় রায়ের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
শহীদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ও জগন্নাথ হলে।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক অজয় রায়। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। গত ২৫ নভেম্বর থেকে অজয় রায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন। সর্বশেষ তিনি নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা শেষে জঙ্গিদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায়। সেদিন উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হয়ে হাতের আঙুল হারান অভিজিতের স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও। গত ২৮ অক্টোবর আদালতে গিয়ে ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অজয় রায় অস্ত্রহাতে মুক্তিযুদ্ধও করেছেন। মনেপ্রাণে তিনি একটি ধর্মনিরপেক্ষ মুক্তচিন্তার রাষ্ট্র চেয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি সবসময়ই বিজ্ঞানভিত্তিক মানবতাবাদী শিক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন।
এমইউ/বিএ/পিআর