পেট্রল পাম্পে ধর্মঘটে কেন্দ্রের অনুমোদন ছিল না
১ ডিসেম্বর থেকে তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে পেট্রল পাম্পে যে ধর্মঘট ডাকা হয় তাতে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো অনুমোদন ছিল না বলে দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার স্বাধীনতা হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে থেকে পেট্রোল পাম্পে যারা ধর্মঘট করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়। সংগঠনটি বলছে, কতিপয় অসৎ ব্যক্তি জ্বালানি তেল সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নাম ভাঙিয়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ১২ দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করার পর থেকে সরকার ধীরে ধীরে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিচ্ছে। কিছু দাবি অমীমাংসিত রয়েছে, যার জন্য সরকার বৈঠক ডেকেছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর। কিন্তু এরই মধ্যে আমাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কৃত কতিপয় অসৎ ব্যক্তি জ্বালানি তেল সেক্টরকে অস্থিতিশীল করার জন্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাদের সংগঠনের নাম ও ব্যানার ব্যবহার করে তিনটি বিভাগে ধর্মঘট কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই কর্মসূচির ফলে ওই এলাকার জনগণ ভোগান্তির শিকার হয় এবং ক্ষতিগ্রস্তও হয়। সেইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরাও। এই ধর্মঘট কর্মসূচি আমাদের কেন্দ্র থেকে কোনো অনুমোদন করা হয়নি এবং ধর্মঘটের সঙ্গে সাধারণ মালিক-শ্রমিকদের সম্পৃক্ততা ছিল না।
তারা আরও বলেন, আমরা সাধারণ তেল ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা করলে ধর্মঘটে যেতে পারতাম। কিন্তু আমরা যাইনি কারণ তেল শুধুমাত্র একটি পণ্য না, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তেল না থাকলে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এরকম একটা সেনসেটিভ জিনিস নিয়ে ধর্মঘট করা ঠিক না। আমরা সরকারকে বলতে চাই আমাদের একটা নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করে দেন। নির্ধারিত ফি আমরা জমা দেব, সে হিসাবে আমরা লাইসেন্সই নেব। সরকারের আইন আমরা মানতে চাই, কিন্তু ভোগান্তিতে যেতে চাই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হক, সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ সহ আয়োজক সংগঠনের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ২৬ জেলায় ১ ডিসেম্বর থেকে শুর হয় পেট্রল পাম্প ধর্মঘট। পরদিন আবার ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
এএস/এনএফ/এমএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ফ্যাসিস্টদের মুখোমুখি হতে ভয় পেলে নতুন বাংলাদেশ গড়া যাবে না: সারজিস
- ২ চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান হাসনাতের
- ৩ মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ
- ৪ মিডিয়ার চোখে র্যাব-জনগণের প্রত্যাশা বিষয়ে সেমিনার
- ৫ সরকারি কর্মচারীদের শুধু নিজের সুবিধা বৃদ্ধির কথা ভাবলে চলবে না