৪ ডিসেম্বর হজ চুক্তি, সৌদি যাচ্ছে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দল
২০২০ সালের দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পাদন করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ২ ডিসেম্বর সৌদি আরব যাচ্ছেন। ৪ ডিসেম্বর সৌদি সরকার ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হওয়ার কথা রয়েছে।
নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ছাড়া ধর্ম সচিব মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, হজ অফিস ঢাকার পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস (ভারপ্রাপ্ত), ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম এনালিস্ট মো. সাইফুল ইসলাম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত সচিব নাজমুল হক সৈকত ও হজ এজেন্সি অফ বাংলাদেশ হাফ সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন তসলিম রয়েছেন।
প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ধর্মপ্রতিমন্ত্রীর স্ত্রী ও মেয়ে, ধর্ম সচিব, ধর্ম মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব এবং সিভিল এভিয়েশন ট্যুরিজম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের সহধর্মিণীরাও সফর সঙ্গী হবেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এবারের হজ চুক্তিতে বাংলাদেশের হজযাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি, বাংলাদেশি সব হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সম্পন্ন করা, চুক্তির পরে হজ প্যাকেজে কোন প্রকার ব্যয় বৃদ্ধি না করা এবং মদিনাতে সরাসরি ফ্লাইট এর সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ। এই হিসেবে বাংলাদেশ ১ লাখ ৪৮ হাজার হজযাত্রীর কোটা চাইবে। এ বছর শতকরা প্রায় ৫০ শতাংশ হজযাত্রীদের সৌদি অংশের ইমিগ্রেশন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হয়। আগামী বছর যাতে দেশ থেকে সব হজযাত্রী ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে যেতে পারেন সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সৌদি সরকারকে অনুরোধ জানাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গত বছর বাংলাদেশ থেকে স্বল্পসংখ্যক ফ্লাইট সরাসরি মদিনা গেছে। এ বছরে সংখ্যা আরও বৃদ্ধির জন্য আলোচনা করবে প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত একজন সদস্য বলেন, রাজকীয় সৌদি সরকার ও ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় সৌদি সরকার হজ চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পরও খরচ বৃদ্ধি করে। আগেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত খরচ নিয়ে বেসরকারি হজ এজেন্সি ও হজযাত্রীদের মধ্য ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে সৌদি সরকারকে চুক্তি সম্পাদনে যাতে আর কোন ব্যয় বাড়ানো না হয় সে ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
এমইউ/জেএইচ/এমকেএইচ