অপচয়-দুর্নীতির কারণেই বিদ্যুতের দাম বাড়ে
বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, এই দুর্নীতির মাশুল গুনতে হচ্ছে ভোক্তাসাধারণকে। তিনি বলেন, বড় প্রকল্পে না যেতে পারায় বিদ্যুতে সরকার অসফল এবং রেন্টাল-কুইক রেন্টালের নামে তুঘলকি কাণ্ড ঘটছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন গোলাম রহমান।
গোলাম রহমান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সাবেক এই সচিব।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ে। বিদ্যুতে অপচয়, দুর্নীতির কারণেই দাম বাড়ে। সরকার ব্যয়বহুল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল উৎপাদনে গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। এই সময়ে বড় বড় প্রকল্পে যাওয়ার কথা ছিল। সরকার পারেনি। বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার অসফল। এত ব্যয় এবং আশ্বাস দিয়েও সরকার বড় কোনো প্রকল্পে (বিদ্যুৎ) উৎপাদনে যেতে পারল না।’
তিনি বলেন, ‘রেন্টাল-কুইক রেন্টালের নামে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। অথচ, তার দায়ভার পড়ছে সাধারণ মানুষের ওপর। সরকারের এই আচরণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াছে বিশেষ মহলের স্বার্থে-এমন মন্তব্য করে দুদকের সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী মহলকে সুবিধা দিতেই সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এ ক্ষেত্রে। এই মহলে দেশি-বিদেশি নানা পক্ষই সম্পৃক্ত।’
সাবেক এই আমলা বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি এবং খামখেয়ালিপনা বন্ধ করা দরকার। বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়া সময়ের দাবি। বড় প্রকল্পগুলোর উৎপাদনে সরকারকে অধিক জোর দেয়া দরকার।’
এএসএস/এসআর/এমকেএইচ
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ গ্রাহক সেজে ব্যাংকে ঢোকেন ডাকাতরা, খেলনা পিস্তল ঠেকান ম্যানেজারকে
- ২ উদ্ধার হওয়া ৪ অস্ত্র আসল নয়, খেলনা পিস্তল
- ৩ ডাকাতদের বয়স ২১-৩০, এখনো বের হননি জিম্মি ব্যাংক কর্মকর্তারা
- ৪ হজযাত্রী সমন্বয় ও লিড এজেন্সি নির্ধারণের সময় বেঁধে দিল মন্ত্রণালয়
- ৫ ‘কমিশনের সুপারিশ ক্যাডার সার্ভিসে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে’