ঈদের পঞ্চম দিনেও ঢাকায় ফেরা মানুষের ঢল
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রোববার খুলেছে ব্যাংক, বিমা, অফিস, আদালত। কিন্তু এখনো পুরোপরি কর্মব্যস্ত হয়নি রাজধানী ঢাকা। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ।
ঈদের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার সকাল থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে রাজধানী ফেরা কর্মজীবী মানুষের ভিড় দেখা গেছে। তবে আজও ট্রেনের শিডিউলে বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় না হওয়ায় সহজেই রাজধানীতে আসতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ১১ পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ট্রেনই ২০ থেকে ৪০ মিনিট দেরিতে ঢাকা পৌঁছে।
এদিকে, যাত্রীদের অভিযোগ ঈদে বাড়ি ঢাকা আসার সময় টিকিট পেতে যেমন হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তেমনি আসন পেতেও সমস্যায় পড়েছেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, এবার মানুষ যেভাবে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপ করতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিল সেই ভাবেই আবার ফিরে আসছে। ঈদের পঞ্চম দিনেও ট্রেনের কোনো শিডিউলে বিপর্যয় হয়নি। কয়েকটি ট্রেন ১০ থেকে ২০ মিনিট বিলম্বে এসেছে। বাকিগুলো যথাসময়ে ঢাকা এসে পৌঁছাচ্ছে।
ঢাকায় আসার ক্ষেত্রে টিকিট সল্পতা সম্পর্কে স্টেশন ম্যানেজার বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় সম্পদের কিছুটা সল্পতা রয়েছে। ঈদ মৌসুমে অতিরিক্ত যাত্রীচাপের কারণে আসন সল্পতা হয়। তাই প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি লাগানো হয়েছে। এবং সেই পরিমাণ টিকিট দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা যেন কোনো ধরনের ভোগান্তিতে না পড়ে সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আজও ঈদ উপলক্ষে ঢাকা থেকে পার্বত্যপুর, দেওয়ানগঞ্জ, খুলনায় তিনজোড়া স্পেশাল ট্রেন চলাচল করবে।
ময়মনসিংহ থেকে আসা আব্দুল্লা জানান, ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়ছিলাম। আসার টিকিট পেতে সমস্যা হয়েছিল। তবে এবার ট্রেনের শিডিউল ঠিক ছিল। কিন্তু ভেতরে বাজে অবস্থা। অতিরিক্ত যাত্রী ছিল ট্রেনে অনেকে দাঁড়িয়ে এসছে। তাই ব্যাগ মালামাল নিয়ে আসতে খুব সমস্যা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী রাজশাহী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কফিল উদ্দিন বলেন, ট্রেনটি সকাল ২২টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা এখন ১২টা বাজে। ছাড়ার খবর নেই।
এসআই/এসকেডি/এমএস