ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিয়োগপত্র পাচ্ছেন চালক ও পরিবহন শ্রমিকরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০১৯

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের (চালক ও শ্রমিক) নিয়োগপত্র দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। তিনি বলেন, এর ফলে পরিবহন শ্রমিকরা যেমন জবাবদিহিতার আওতায় আসবেন তেমনি পরিবহন মালিকদের দায়িত্ব বাড়বে। তবে মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষই নিয়োগপত্র দিতে ও নিতে চায় না।

মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৬ষ্ঠ বৈঠকে তিনি এসব তথ্য জানান। কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, শাজাহান খান, মো. ইসরাফিল আলম এবং শামসুন নাহার অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক চুন্নু জাগো নিউজকে বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না। এ বিষয়টি বাস্তবায়ন করার নিমিত্তে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের পত্র দেয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করেছে।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে শ্রমিক কল্যাণ ফান্ড নিয়ে আলোচনা হয়। এ কল্যাণ ফান্ড নিয়ে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। শ্রমিকরা এ ফান্ড থেকে টাকা পান না। বৈঠকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন শ্রমিক কল্যাণ তহবিল বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ, বোর্ডকে আরও যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করার লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএ-এর উপযুক্ত প্রতিনিধির সমন্বয় একটি কমিটি গঠনে সুপারশ করা হয়। এ কমিটি গঠনের অগ্রগতি কী তা কমিটির আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, আইনেই পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগপত্র দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা বৈঠকে সবাইকে নিয়োগপত্র দেয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য পোষণ করেছি।

জানা যায়, বৈঠকে জানানো হয়, শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে সংঘটিত দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে নিহত ১৯ জন শ্রমিকের পরিবারকে মালিকপক্ষ থেকে ক্ষতি পূরণ দেয়া হয়েছে। মোট ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। ২০১৮ সালে ১৭ জন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮৫ লাখ এবং ২০১৭ সালে ১৬ জন শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮০.২৫ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।

বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরা, সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা, মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/আরএস/পিআর