সরকার পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে টানাটানি করছে
মুনতাসির ফ্যান্টাসি নাটকের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নাটকে একটি চরিত্র ছিল, সে যা পেত তাই খেয়ে ফেলত। ঠিক এই সরকারের পেটে এখন অনেক ক্ষুধা। সরকার চেয়ার-টেবিল কাগজ সব খেয়ে ফেলছে। এর আগে ক্যাসিনো খেল, বড় বড় মেগা প্রজেক্ট খেল। এখন সাধারণ মানুষের পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে টানাটানি শুরু করছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের একটাই মাত্র উদ্দেশ্য- যেকোনোভাবে ক্ষমতায় থেকে শুধুমাত্র লুটপাট করা। নিজেরা বিত্তশালী হওয়া এবং সেই বিত্তের টাকা বিদেশে পাচার করা।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান যেরকম কৃষকের কাছে, ওই খেঁটে খাওয়া মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি শুরু করেছেন, ঠিক তারেক রহমান একইভাবে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন। আজকে যখন আমাদের অনেকের মধ্যে হতাশা কাজ করছে ভয়-ভীতি ত্রাস কাজ করছে, তখন দেশনায়ক তারেক রহমান সেই সুদূর থেকে লালমনিরহাটের এক নেতাকে ফোন দিয়ে বলছেন- কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? সাহস হারাবেন না আমরা সবাই আছি। অনেকে মনে করে তারেক রহমান শুধু স্কাইপে নেতাদের সাথে কথা বলেন, আসলে না। তিনি তৃণমূলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর খোঁজখবর নেন। এভাবে তিনি পুরো জাতিকে উজ্জীবিত করছেন। আমরা এতো হতাশার মধ্যেও তারেক রহমানের নেতৃত্বের মধ্যে আশার আলো দেখতে পাই এবং সেই নেতৃত্ব আমাদের ইনশাআল্লাহ মুক্তির পথ দেখাবে।
তিনি বলেন, এই সরকার সম্পর্কে আর কিছু বলার নেই। মানুষ চায় এই সরকার যাক। আগেতো দশবছর বিএনপিকে পিটিয়েছেন এখন সাধারণ মানুষকে পেটানো শুরু করেছেন। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এই সরকার স্বৈরাচার সরকার নয়, এই সরকার স্বৈরাচারী সরকারের বাবা, ফ্যাসিস্ট সরকার। এরশাদ ছিলেন স্বৈরাচার সরকার, আইয়ুব খান ছিলেন স্বৈরাচার সরকার তাদের মধ্যেও কিছু নিয়ম নীতি ছিল কিন্তু এই সরকারের মধ্যে কোনো কিছু নেই।
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১০-১২ বছর ধরে আমরা এই অবস্থার মধ্যে আছি। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নেলসন মেন্ডেলা ২৭ বছর জেলে ছিলেন। আমাদের পাশের দেশ, যাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ সেই মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ২২ বছর গৃহবন্দি ছিলেন। শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রের মুক্তি হয়েছে, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে নিজের জন্য নয়। আমাদের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য তিনি আজ কারাগারে বন্দি। আইনগতভাবে যে জামিন তিনি প্রাপ্য সেটা তাকে দেয়া হচ্ছে না। আমরা অবশ্যই গোটা বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা কাজ করছি। আমরা সকল দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে ইনশাআল্লাহ এমন এক গণআন্দোলন সৃষ্টি করবো যে গণআন্দোলনের মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন। এটা আমাদের বিশ্বাস, আমরা জানি এটা হবেই।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, শওকত মাহমুদ, যুগ্ন মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এনএফ/পিআর