বড়, তাই সব দোষ রেলের : রেলমন্ত্রী
একজন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেলক্রসিং দিয়ে রেললাইনে চলে আসল। এর জন্য অ্যাক্সিডেন্ট হলো। এতে কিন্তু রেলের কোনো দোষ নেই। তারপরও রেলকে অভিযুক্ত করা হয়। আসলে রেল বড় তো, তাই সবাই রেলের দোষ দেয়।
এভাবে কথাগুলো বলেছেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজন। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর রেল ভবনে মন্দবাগ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে সচিব মো. মোফাজ্জল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রেলে সর্বোচ্চ দুর্ঘটনা ঘটে ক্রসিংয়ে। তারপরও ঢাকার কমলাপুর থেকে টুঙ্গী পর্যন্ত ১২টা আনঅথরাইজড ক্রসিং রয়েছে- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিকট যে তথ্য আছে তাতে আনঅথরাইজড কোনো ক্রসিং নেই। লোক পারাপার কিংবা বাস-ট্রাক পারাপার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিন্তু রেলক্রসিং দেয়া হয়নি। রেলের সাধারণত নিরাপত্তার জন্য ক্রসিংগুলো আমরা দেই।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যেন রেলকে ধাক্কা না দেয়, রেলকে যেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে, অন্য কোনো যানবাহন যেন রেলকে ধাক্কা না মারে, সেজন্য ক্রসিংগুলো রেখেছি। সেখানে লোক রেখেছি। কিন্তু অনেক সময় এ জিনিসটা রেলের ঘাড়ে চলে আসে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একজন মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেলক্রসিং দিয়ে রেললাইনে চলে আসেন, আর তার জন্য অ্যাক্সিডেন্ট হলো- এজন্য উনি দায়ী। আমার রেললাইনের ওপর আপনি কেন উঠেছেন? আমার রেলকে কেন উনি ধাক্কা দিলেন। এজন্য আমি উনাকে অভিযোগ করতে পারি। উনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবেন না।’
‘তেমনিভাবে কোনো বাস, ট্রাক বা অন্য কোনো গাড়ি যদি রেলকে ধাক্কা দেয়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনব। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারবে না। কিন্তু একটা ভুল মেসেজ যাচ্ছে। প্রত্যেকটা রেল দুর্ঘটনায় কিন্তু আমরা রেকর্ড করি। এর জন্য রেল দায়ী নয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে যারা রেলকে ধাক্কা দেয়, নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তারাই মূলত দায়ী। এজন্য ধাক্কাদানকারীদের কাছে আমরা ক্ষতিপূরণ চাইতে পারি। কিন্তু সেটা হয় না। কারণ যা কিছু ঘটুক, রেলের চেহারা সুরত বড় তাই সব দোষ রেলেরই হয়।’
এমইউএইচ/এসআর/এমকেএইচ