আত্মীকৃত কলেজ শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি
আত্মীকৃত কলেজ শিক্ষকদের চাকরি তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের তারিখ থেকে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক ফোরাম (বাসকশিফো)।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক নেতারা বলেন, বর্তমানে আমরা সংকটময় পরিস্থিতিতে আছি। জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা-২০০০ আত্মীকরণ কর্মচারীরা তাদের নিজ নিজ কলেজ জাতীয়করণের তারিখ থেকে চাকরি নিয়মিতকরণ, স্থায়ীকরণসহ সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। অথচ একই বিধিতে আত্মীকরণ এবং একই দিনে নিয়োগপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকদের চাকরি নিয়মিতকরণ করা হচ্ছে অ্যাডহক নিয়োগের পর যোগদানের তারিখ থেকে তিন বছর পর। অর্থাৎ কলেজ জাতীয়করণের তারিখ থেকে নয়। আর স্থায়ীকরণ নিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে যা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) কলেজ শাখার কিছু কর্মকর্তার নিজেদের বানানোর নিয়ম।
তারা আরও বলেন, জাতীয়করণকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালায় কোথাও এমন কিছু লেখা নেই। জাতীয়করণকৃত মাধ্যমিক স্কুলগুলোর আত্মীকরণকৃত শিক্ষকরাও তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের তারিখ থেকে নিয়মিত স্থায়ীকরণসহ সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। শুধুমাত্র আমরা যারা বিভিন্ন কলেজের আত্মীকরণ কলেজ শিক্ষক তাদেরকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কলেজ শাখার কিছু কর্মকর্তা মনগড়া নিয়ম বানিয়ে নিয়মিতকরণ ও স্থায়ীকরণের সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
বক্তারা বলেন, মাউশির কলেজ শাখার কিছু কর্মকর্তা আত্মীকরণ কলেজ শিক্ষকদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ সকল প্রশিক্ষণ থেকেও বঞ্চিত রেখেছেন। এ অবস্থায় দাবি উঠেছে ২০০০ বিধিতে শিক্ষা ক্যাডারের আত্মীকরণ কলেজ শিক্ষকদের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের জাতীয়করণের গুরুত্বপূর্ণ কাজে পদায়ন করা হোক। পাশাপাশি যারা আত্মীকরণ কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছে তাদেরকে শনাক্ত করে মাউশি থেকে বের করে কলেজে পদায়ন করা হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কলেজ শিক্ষক ফোরামের (বসকশিফো) আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মুহম্মাদ জাকির, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হক, শিক্ষক নেতা মাহারুব জামান প্রমুখ।
এএস/এএইচ/এমএস