কসবায় হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রপতির শোক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। রাষ্ট্রপতি দুর্ঘটনায় আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গভীর শোক ও দুঃখপ্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
তিনি দুর্ঘটনায় আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহযোগিতা দিতে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন তিনি বলেন, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রেলের মহাপরিচালকের দফতর থেকে। অপরটি করা হয়েছে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল মহাব্যবস্থাপক কার্যালয় থেকে। কমিটিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাত পৌনে ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন।
এদিকে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
তিনি জানান, প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে ভোররাত পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষ হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন এবং কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ২ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন মারা যান।
বিএ/পিআর