ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৬:১১ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি বাসায় মো. কামরুল হাসান নামে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপুরে সেগুনবাগিচার ইস্টার্ন ভিলার (দুদক অফিসের পাশে) ৮ম তলার ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে রমনা থানা পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী ও পুলিশের দাবি, কামরুল আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের পরিবার বলছে, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দীর্ঘদিন থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার কলহের জেরে কামরুলকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে বলেও পরিবার থেকে অভিযােগ করা হয়।

এ ব্যাপারে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, শনিবার দুপুরে পাশ্ববর্তী ফ্লাটের লোকজনের দেয়া খবরে পুলিশ গিয়ে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, কামরুল ঢাকায় হাওয়াই টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডে সফটওয়্যার ইঞ্জনিয়ার হিসেবে চাকরি করতেন। তার অফিস গুলশান-১ এর দক্ষিণ এভিনিউস্থ লোটাস কামাল টাওয়ার-২, লেভেল ৯-৫৯ ও ৬১।

স্ত্রীর ডা. মায়মুনা সাঈদ। লাশ উদ্ধারের পর খোঁজ করা হলে স্ত্রী মায়মুনা মিরপুরস্থ নানার বাসায় অবস্থান করছিলেন বলে জানায় পুলিশ।

লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান জানান, লাশ উদ্ধারের সময় বাসায় অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। কক্ষের ভেতর থেকে দরজার লক করা ছিল। বিছানায় পড়েছিল কামরুলের মরদেহ। গলায় ওড়না পেচানো। ফ্যানের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ঝুলে থাকার পর মরদেহ বিছানায় পড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি।

JU

মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ জানতে শনিবার দুপুরেই মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই মজিবর।

তবে নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার শেষে এখন আত্মহত্যা বলে চালানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্ত্রী মায়মুনার সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে কলহ চলছিল ছেলে কামরুলের। এ কারণে ঈদের ছুটিতে বাসাতেও আসেনি কামরুল। কিন্তু কাল তারা হঠাৎ ছেলের মৃত্যু খবর পান।

পুত্রবধু কিংবা তাদের পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কামরুলের লাশ দেখতে আসেনি বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মায়মুনা সাঈদের ব্যক্তিগত মোবাইলফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।

পরে নিহতের ভায়রা ভাই ডা. কায়েদ জানান, ২০১০ সালের দিকে ইঞ্জিনিয়ার কামরুলের সঙ্গে শ্যালিকা মায়মুনার বিয়ে হয়। কিন্তু ৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান হয়নি। বেশ কিছু দিন ধরে নিজেদের মধ্যে কলহের জেরে আলাদা বাসায় থেকে আসছিলেন মায়মুনা।

গত শনিবার পুলিশ দরজা ভেঙে কামরুলের লাশ উদ্ধার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ ঘটনায় মামা শশুড় প্রফেসর লুৎফর কবির রমনা থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

জেইউ/এসকেডি/এমএস