ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মিনায় নিখোঁজ ৯৮ বাংলাদেশি হাজি

প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে সাত শতাধিক হাজি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অন্তত ৯৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

বৃহস্পতিবারের এই ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে নিখোঁজ ১২৮ বাংলাদেশি হাজির তালিকা তৈরি করে বাংলাদেশ দূতাবাস। পরবর্তীতে মিনার বিভিন্ন হাসপাতালে আহত অবস্থায় ৩০ বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া গেলেও এখনো বাকী ৯৮ জনের কোনো খোজঁ পাওয়া যায়নি বলে দূতাবাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবারের পদদলিতের ঘটনার পর হট লাইন, স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও সরকারি বিভিন্ন উৎস থেকে নিখোঁজ ১২৮ জন বাংলাদেশির তালিকা তৈরি করা হয়েছিলো। পরে মিনার স্থানীয় কয়েকটি হাসপাতালে ৩০ বাংলাদেশি চিকিৎসাধীন আছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া বাকী ৯৮ জনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এছাড়া সৌদি কর্তৃপক্ষও বাংলাদেশি নিখোঁজ হাজিদের বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি বলে তিনি জানান।

এদিকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ বাংলাদেশি হাজি নিহতের তথ্য জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ছয় জন নারী রয়েছেন।

নিহতরা হলেন, জামালপুরের ফিরোজা বেগম (৫৪), সুনামগঞ্জের হাজিপাড়া এলাকার জুলিয়া বেগম (৪৫), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার তাহেরা বেগম (৭৩) ও তার ভাই নূর নবী মিন্টু (৬৯), একই এলাকার নূর জাহান বেগম (৫৫), মুন্সীগঞ্জ সদরের জাহানারা আরজু (৪৮), দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতারা গ্রামের কুরমত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাম মোস্তফা এবং শরীয়তপুরের আবদুর রাজ্জাক ও হাসিনা আক্তার।

দূতাবাস কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত হতাহতের তালিকায় কত জন বাংলাদেশি আছেন সে ব্যাপারে কিছু বলা সম্ভব নয়।

শুক্রবার রাত থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দেশের হাজিদের মৃতদেহ শনাক্তে কাজ শুরু করছে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মক্কার মিনায় প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলিত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৭১৭ জন হাজি নিহত হয়েছেন। গত ২৫ বছরের মধ্যে মিনার এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো আট শতাধিক হাজি।

আরব নিউজের খবরে বলা বলছে, বৃহস্পতিবার সারা রাত মিনার মুয়াইসাম এলাকার মর্গে হাজিদের লাশগুলো আনা হচ্ছে। এরপর লাশগুলোর গোসল শেষে শনাক্তকরণের জন্য ছবি তোলা হয়। একইসঙ্গে পরিচয় সনাক্ত করার জন্য তাদের আঙ্গুলের ছাপও নেয়া হয়। পরে অন্তত ৫ শ` নিহতের আঙ্গুলের ছাপসহ ছবি মর্গের দেয়ালে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এর আগে হাজিরা সৌদিতে পৌঁছে বিমানবন্দরে আঙ্গুলের যে ছাপ দিয়েছিলো সেগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে।

এসআইএস/এমএস