ঘূর্ণিঝড় এলেই জটিলতায় পড়ে আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইট!
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার আগমুহূর্তে জটিলতায় পড়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইট।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে এই জটিলতা দেখা যাচ্ছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এই জটিলতা ছিল।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য দেয়ার কর্তৃত্বধারী প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে তথ্য পেতে জটিলতার মুখোমুখী হওয়ায় দেশবাসীর মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ৭ ও ৬ নম্বর ‘বিপদ সংকেত’ চলছিল, তখনও ‘৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত’ দেখানো হচ্ছিল ওয়েবসাইটে!
‘সমুদ্র সতর্কবাতা’ অংশে ১৩টি বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দেখানো হচ্ছিল, যদিও রাত ৮টা পর্যন্ত ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি চলছিল!
ঘূর্ণিঝড়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি অংশে শুক্রবার সারাদিন ‘বুলবুল’ সংক্রান্ত তথ্যের হালনাগাদ পাওয়া গেলেও সন্ধ্যার দিকে সেটাও পাওয়া যাচ্ছিল না।
আবহাওয়া অফিসের ওয়েবসাইটে ক্লিক করলে প্রবেশ করতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। কখনও কখনও ওয়েবসাইটে প্রবেশও করা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড়-সংক্রান্ত জরুরি তথ্য জানতে আবহাওয়া অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট নম্বরও সন্ধ্যার পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না, শুধু লাইন ব্যস্ত দেখাচ্ছে।
জরুরি প্রয়োজনে আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া টেলিফোন নম্বরেও সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে এ বছরই ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসার সময়ও আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এমন জটিলতা দেখা দিয়েছিল।
শুক্রবার সন্ধ্যা পরবর্তী আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল এই জলোচ্ছ্বাসের আওতায় রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৬ নম্বর নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পিডি/জেডএ/এমএস