ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যথেষ্ট পরিমাণ সার মজুত রয়েছে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:২৫ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৯

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এখন রবি মৌসুম চলছে। রবির চারা রোপণ চলছে। ডিসেম্বরের শেষে বোরো মৌসুম শুরু হবে। মূলত এ সময়ে সারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়। সারের কোনো সমস্যা হবে না-এটুকু বলতে চাই। যথেষ্ট মজুত রয়েছে। পাইপলাইনে যা আছে তা দিয়ে আগামী বোরো মৌসুম পর্যন্ত সার নিয়ে সমস্যা হবে না। কৃষকেরও কোনো ভোগান্তি হবে না।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে সারের অনেক প্রয়োজন হবে, তাই এই সভা করা হয়েছে। সারের দাম জাতীয় পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু কতটুকু কিনব, কীভাবে কিনব, সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে কোন সংস্থা কতটুকু আনবে-এগুলো আমরা নির্ধারণ করে থাকি। আমরা আজ সব কিছু আলোচনা করেছি। আলোচনায় একটা বিষয় সুস্পষ্ট-আমাদের এ মুহূর্তে যে সার মজুদ রয়েছে তার পরিমাণ ২৪ লাখ ৩২ হাজার টন। এর মধ্যে টিএসপি ৩ লাখ ৪৯ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৯৭ হাজার টন, এমওপি ৭ লাখ ১৫ হাজার টন, ইউরিয়া ৭ লাখ ৭১ হাজার টন। দেশের বার্ষিক সারের চাহিদা ৫০ লাখ টন। অন্যান্য বছরের তুলনায় সব সারই বেশি আছে।’

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশে কৃষির গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘জিডিপির ১৪ ভাগ কৃষি থেকে আসে, ৪০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর জীবিকা নির্বাহ করে দেশের, ৬০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করে। তারা কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। ফলে সার কৃষি কাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সারের দাম নিয়ে এ দেশে অনেক রাজনৈতিক অস্তিরতা হয়েছে। অনেক কৃষককে জীবনও দিতে হয়েছে এ দেশে। কাজেই এই কমিটির (সারবিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শ কমিটি) গুরুত্ব অনেক। সার ক্রয় এবং বিতরণে কৃষক যেন কোনো হযরানির শিকার না হয়, যথেষ্ট পরিমাণে ও যথাসময়ে কৃষকের কাছে সার যেন পৌঁছে যায়, সারের কারণে যাতে কোনো ফসলের ক্ষতি না হয় বা এর কোনো বিরূপ প্রভাব না পড়ে, সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এ কমিটি কাজ করে।’

এমইউএইচ/এসআর/এমকেএইচ