লাইফ সাপোর্টে মিজান, ঢামেকে কাতরাচ্ছে আরও ৬ জন
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে বেলুনের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাতজন ভর্তি রয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় বছর বয়সী মিজানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢামেক হাসপাতালে আবাসিক সার্জন মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, বর্তমানে দগ্ধ ও আহত মোট সাতজন ভর্তি রয়েছে। মিজান লাইফ সাপোর্টে। তার শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ, বাকিরাও আশঙ্কামুক্ত নয়।
ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, মিজান ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আইসিইউর ৯ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। তার ভুঁড়ির কিছু অংশ বের হয়ে গিয়েছিল এবং মাথায় আঘাত লেগেছে।
মিজান ছাড়া ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকিরা হলেন গ্যাস বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ (২৯), মোস্তাকিম (৯), স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল (২৫), জান্নাত (২৫), জনি (১০) এবং সিয়াম (১১)।
তাদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা চলছে বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদের। বিস্ফোরণে তার ডান হাতের আঙুল থেতলে গেছে। এছাড়া তার পেট ঝলসে গেছে এবং পায়ে আঘাত রয়েছে।
অর্থোপেডিক বিভাগে চিকিৎসাধীন জুয়েলের হাত ভেঙে গেছে এবং সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন জান্নাতের ডান হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া তার দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাত লেগেছে।
আহত জনির মুখমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখানে চিকিৎসা শেষে তাকে আবার ঢামেকে নেয়া হয়।
এছাড়া সিয়ামের মুখ ঝলসে গেছে, সে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মোস্তাকিমের শরীরও ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) মিরপুরের রূপনগর থানার শিয়ালবাড়ি বস্তির শিশুরা বেলুন কিনতে গিয়ে ভ্যানগাড়িতে থাকা বেলুনে ভরা গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত হয়েছে। তারা হলো- নিহাদ, রিয়া, শাহিন (১০), নূপুর (৭), ফারজানা (৯), জান্নাত (১৪) ও রমজান (৮)। একই ঘটনায় আহত ও দগ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন। তাদের মধ্যে সাতজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এআর/আরএস/এমকেএইচ