অপুষ্টি নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : মন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টি নিরসন করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমরা ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি, এবার অপুষ্টির হার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আজ (মঙ্গলবার) রাজধানীর একটি হোটেলে অতি দরিদ্র এবং নগরের দরিদ্র পথবাসী সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত "দ্বিতীয় পর্যায়ে পুষ্টি বিষয়ক জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) '' সরকারের অভিষ্ট লক্ষ্য এবং সংসদ সদস্যদের ভূমিকা" শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সালে সংবিধানের ১৮(১) অনুচ্ছেদে পুষ্টির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং ১৯৭৪ সালে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিলেন।
বীর বাহাদুর বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা মাতৃ মৃত্যুহার ও শিশু মৃত্যুহার রোধে সাফল্য অর্জন করেছি। বর্তমানে আমাদের দারিদ্রের হার ২১ শতাংশ। এমডিজিতে যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা এসডিজিতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় তিনি সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে অপুষ্টির হার দূরীকরণে বিশেষ ক্যাম্পেইন করার আহ্বান জানান।
সংসদ সদস্য ও এপিজির সভাপতি ইসরাফিল আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এপিজির মহাসচিব শিশির শীলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক, শিরিন আক্তার, মহিবুর রহমান মানিক, গাজী মো. শাহনেওয়াজ, সেলিমা আহমদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের সহকারী পরিচালক আকতার ঈমান।
এমইউ/এনএফ/জেআইএম