প্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করছে এবারের কোরবানির হাট
প্রকৃতির হেয়ালি আচরণ কোরবানির পশুর হাটে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। কখনো বৃষ্টি তো কখনো রোদ। প্রকৃতির এই মিষ্টি দুষ্টুমি বোঝে উঠতে পারছে না ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।
তাই কর্দমাক্ত হাটে ক্রেতারা বিশেষ ব্যাবস্থা ছাড়া প্রবেশ করতে পারছেন না। ফলে কোরবানির পশু নিয়ে বিক্রেতারাও পড়েছেন বিপাকে। ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ বৃষ্টির কারণে সঠিক দাম পাচ্ছেন না তারা। আর এ সুযোগ হাত ছাড়া করছেন না ক্রেতারাও। বুধবার রাজধানীর মিরপুর এলাকায় কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়েছে। বৃষ্টির আলামত দেখলেই আঁতকে উঠেন গরু ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টির কারণে বেশি লাভের আশায় বসে নেই তারা তাই অল্প লাভ হলেই ছেড়ে দিচ্ছেন কোরবানির পশু।
কাফরুল থানাধীন কচুক্ষেত কাঁচা বাজার সংলগ্ন পশুর হাটে একটি মাঝারি আকৃতির গরু কিনে হাসিল পরিশোধ করতে আসা তাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, গত বছর ৭৫ হাজার টাকায় যে সাইজের গরু কিনেছিলেন মোটামোটি সেই সাইজের গরু এবার তিনি কিনেছেন ৬০ হাজার টাকায়।
তাজুল ইসলাম জানান, এ বছর গরুর দাম কম না হলেও বৃষ্টির কারণে ব্যবসায়ীরা অসহায় হয়ে কিছুটা কম দামেই পশুগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন।
এদিকে বুধবার রাজধানীর হাটগুলোতে বিপুল সংখ্যক গরু, ছাগল ও মহিষের সমাগম ঘটেছে। সকালে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাটগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকে।
বিকেলে বৃষ্টিভেজা কর্দমাক্ত হাটে গরু ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দারুণ দরকষাকষির দৃশ্য দেখা গেছে। তবে বৃষ্টি কমার সঙ্গে গরু বিক্রিতে আরো চাঙ্গাভাব আসবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা।
আরএম/এসকেডি/পিআর