ভোলার ঘটনার প্রতিবাদে মোহাম্মদপুরে সড়ক অবরোধ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন মুসল্লিরা। তারা ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত চারজনের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউন হলের আল্লাহ্ করিম মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই বাদল জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, বিক্ষোভে তারা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেসের (ইসকন) কার্যক্রম বন্ধের দাবি তুলেছেন। এ ছাড়া ‘রসুল (স.)-এর জন্য উৎসর্গ করা রক্ত বৃথা যেতে দেব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব বর্মণ জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভোলার ঘটনায় নিহতের বিচারের দাবিতে সকাল থেকে তারা আল্লাহ্ করিম মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে মাইকের ব্যবস্থা করে তারা বক্তৃতা দেন। বক্তৃতা শেষে তারা সবাই টাউনহলের সড়কে নেমে মিছিল করেন। মিছিলের পর সড়কে বসেই বক্তৃতা দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ভোলায় পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে গুলি চালানো কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি করেন।
মুসল্লিদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় টাউনহল সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে সর্বশেষ সাড়ে ১২টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুসল্লিরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘তৌহিদি জনতা’র সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফেসবুকে মহানবী (স.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদে রোববার বেলা ১১টায় বোরহানউদ্দিন হাইস্কুল মাঠে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নিতে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার লোক একত্রিত হয়ে ‘নবী অবমাননা’ ও ‘আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তিকারীর ফাঁসি চাই’- স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই তা শেষ করতে তাগাদা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন- মিজান (৪০) ও মাফুজ পাটোয়ারী (৪৫)। অপরজন মারা যান ভোলা সদর হাসপাতালে। এছাড়া দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভোলার অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবিদ হোসেন এ মামলা করেন।
এআর/এসআর/এমকেএইচ