পশুর হাটে জমজমাট মৌসুমি ব্যবসা
আসন্ন কোরবানির ঈদকে ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। রাজধানীর ২২টি স্থানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। আর এ হাটকে কেন্দ্র করে চলছে নানা রকম মৌসুমি ব্যবসা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার গরু আসছে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে।
ক্রেতে-বিক্রেতা এবং কোরবানির পশুকে কেন্দ্র করে চলছে আনুষঙ্গিক নানা উপকরণের ব্যবসা। পশুর খাবারের মধ্যে রয়েছে শুকনো খড়, ভূসি, কাঁঠাল পাতা। গরুকে সাজানোর জন্য রয়েছে কাপড় কিংবা রঙিন কাগজের মালা, রঙিন দড়ি, লাঠি। এসব দোকানের পাশাপাশি অনেকে আবার ফেরি করে বেড়াচ্ছেন এই আনুষঙ্গিক উপকরণগুলো।
রাজধানীর গাবতলী হাটে মৌসুমি ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ জানান, কোরবানির পশুটিকে সাজানোর জন্যে সবার আগ্রহ থাকে সে জন্য আমি বিভিন্ন ধরনের মালা বিক্রি করি। মালার দাম সম্পর্কে তিনি জানান, গ্লাস মালা প্রতিপিছ ৫০ থেকে ৮০ টাকা। ঝড়ি মালা ১৫ থেকে ২০ টাকা। রিং মালা প্রতিপিস ৯০ থেক ১শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর গরু হাট ঘুরে নানা ধরনের রশি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বেশিরভাগ ফেরিওয়ালা হলেও এই হাটগুলোতে বেশ কিছু দড়ির দোকানও আছে। প্রতি ৫ হাতে রশি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ১০ হাতের রশি ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
পাশাপাশি পাওয়া যাচ্ছে রঙিন কাগজ কিংবা কাপড়ের তৈরি মালা এবং গরুকে নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন আকৃতির লাঠি বিক্রি হচ্ছে এইগুলোর দাম সম্পর্কে দোকানিরা জানান, কোরবানির পশুর জন্য রঙিন কাগজ কিংবা কাপড়ের তৈরি মালা ৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং দড়ি ৩০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হয় আর ছোট লাঠি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।
সাত বছর ধরে গাবতলী হাটে ঘাস বিক্রি করেন তৌহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, ঘাস বিক্রেতাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন এলাকার ডোবা, নদী ও বিল, রাস্তার ঢালু এলাকা থেকে ঘাস কেটে আনে। এটা পুঁজিহীন হলেও পরিশ্রম বেশি তবে সে অনুযায়ী দাম পাচ্ছি না।
তিনি বলেন, হাটের বিক্রি বাড়লে চাহিদা বাড়ে গোখাদ্যের, সাথে বাড়ে দামও। তৌহিদুল ইসলামের পাশের খড়ের দোকানদার সূর্য মিয়া বলেন, এ বছরই প্রথম খড়ের ব্যবসা শুরু করেছি। প্রতি ছোট খড়ের আটি গত কিছুদিন ১০ টাকায় বিক্রি করছি। তবে আজ থেকে চাহিদা বেশি হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
পাশাপাশি ছাগলের হাটে কাঁঠালপাতা বিক্রি হচ্ছে প্রতি ছোট আটি ১৫ টাকায়।
আএসএস/বিএ