ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ক্রেতা ভিড়ছে গাবতলী হাটে

প্রকাশিত: ০২:৩০ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ক্রেতা ভিড়তে শুরু করেছে দেশের সর্ববৃহৎ গরুর হাট গাবতলীতে। কোরবানি উপলক্ষে গরু বেঁচা-কেনা শুরু হওয়ার প্রথম দিন গাবতলী হাটে প্রায় ক্রেতা শূন্য থাকলেও সোমবার চিত্র যেন পাল্টে যায়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাবতলী হাটে ক্রেতা সাধারণের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তবে ক্রেতা বাড়লেও সেই তুলনায় গরু বেঁচা-কেনা নেই বললেই চলে। রোববারের ন্যায় সোমবারেও গাবতলী হাট ছিল প্রায় বিক্রিশূন্য।

অপরদিকে টানা বৃষ্টি আর হাট কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় মুশকিলে পড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। হাটের মধ্যে চলাচল একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করছেন হাটে আসা লোকজন।  

কোরবানির পশু বিকিকিনির জন্য এবার রাজধানীতে মোট ২৩টি গরুর হাট বসেছে। এর মধ্যে গাবতলী স্থায়ী গরুর হাট বলে বিবেচিত। এই হাটে সারা বছরই গরু বেঁচা-কেনার চাপ থাকে। তবে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এই চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

দেশের বিভিন্ন স্থান, বিশেষ করে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁর ব্যবসায়ীরা এবার প্রচুর গরু নিয়ে এসেছেন গাবতলীর হাটে। হাটে দেশি গরুর আধিপত্য থাকলেও ভারতীয়, অস্ট্রেলিয়ান ক্রস, নেপালি গরুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।

কুষ্টিয়ার মিরপুর থেকে ১৩টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক। আব্দুল মালেক তার আনীত গরুর মধ্যে সর্বনিম্ন ৭০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৩০ হাজার টাকা দাম হাঁকিয়েছেন।

জাগো নিউজকে এই ব্যবসায়ী বলেন, শনিবার হাটে গরু তুলেছি। রোববার হাটের শুরুর দিন তেমন কোনো ক্রেতা ছিল না। সোমবার সকাল থেকেই ক্রেতা সমাগম বাড়তে থাকে। তবে ক্রেতা বাড়লেও বিক্রি নেই বললেই চলে। যারা কিনছেন, তাদের অধিকাংশই পাইকার। তারা এখান থেকে গরু কিনে নিয়ে রাজধানীর অন্য হাটে বিক্রি করে থাকেন।

একই জেলার খোকসা থেকে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ। তিনি বলেন, ক্রেতাদের মধ্যে উৎসুক জনতাই বেশি। যারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই দাম যাচাই করছেন। কেউ আবার দেখতে আসছেন। ভিড় করছেন সাংবাদিকরাও। বিক্রি হবে হয়ত আরও পরে।

কথা হয়, মোহাম্মদপুর থেকে আসা ক্রেতা আহসান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মূলত দাম যাচাইয়ের জন্যই এসেছি। হাটে একবার এসেই গরু কেনার পরিবেশ নেই। ঠকতে হয়। সাধারণত ঈদের আগের দিন গরু কিনে থাকি। তবে দামে মিলে গেলে আজও কিনতে পারি।  

আরেক ক্রেতা মুনসুর আহমেদ বলেন, কোরবানির হাটে গরুর ব্যবসা অনেকটাই কালোবাজারে রূপ নিয়েছে। বিক্রেতারা যেন হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গরুর দাম হাঁকাচ্ছেন। যে বাজেটে গরু কিনব, তা কোনোভাবেই পছন্দ করতে পারছি না।

এএসএস/একে/আরআইপি