দেরিতে দেশে ফিরতে চান নূর হোসেন
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আটক নূর হোসেন দেশে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া পেছাতে চাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার বিরুদ্ধে তাদের দায়ের করা অনুপ্রবেশের মামলা তুলে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছে।
সোমবার উত্তর চব্বিশ পরগনার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এ আবেদনের শুনানি ছিল। নূর হোসেনের পক্ষ নিয়ে সোমবার এই প্রথম কোনো আইনজীবী আদালতে শুনানিতে অংশ নেন।
আইনজীবী অনুপ ঘোষ তার আবেদনে জানান, তাদের বক্তব্যও যেন আদালত শোনেন। প্রথমে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়। পরে সরকারি উকিল মামলাটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করলে নভেম্বরের শুরুতেই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী দায়ের করা সরকারি ওই আবেদনে বলা হয়েছে, নূর হোসেন বাংলাদেশের একজন দাগী অপরাধী। তার নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ রয়েছে। বাংলাদেশে গ্রেফতার এড়াতেই তিনি ভারতে এসে বেআইনিভাবে লুকিয়ে ছিলেন।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নূর হোসেনকে দেশে ফেরত নিতে চেয়েছে। এজন্যই সরকার অনুপ্রবেশের মামলাটি প্রত্যাহার করে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চায়।
এদিকে, এই আবেদনের কপি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের `গোপন বিভাগে`ও পাঠানো হয়েছে যারা এধরনের অতি স্পর্শকাতর বিষয়গুলোর ওপরে নজর রাখে।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়। আইনজীবীরা জানান, ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে এদেশে যে অপরাধ করেছেন নূর হোসেন তার বিচার এবং শাস্তি হওয়ার পরে তাঁকে ফেরত পাঠানো যাবে নাকি বিচার চলাকালীন সরকার মামলা তুলে নিলে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করা যাবে তাকে।
সরকারি আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন দে বলেন, আদালতের পূর্ণ ক্ষমতা রয়েছে বিচারের যে কোনো পর্যায়ে মামলা প্রত্যাহারের। তিনি বলেন, সরকারি আবেদন মেনে নেওয়া যেতে পারে।
গত বছরের ১৪ জুন নূর হোসেনকে তার দুই সঙ্গীসহ কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসআইএস/পিআর
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ