ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ছিল আবরারের
‘ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন ছিল আবরার ফাহাদের। মৃত্যু তার সেই স্বপ্নকে পূরণ হতে দিল না।’
সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের মামাত ভাই জহুরুল ইসলাম কথাগুলো বলছিলেন।
জহুরুল ইসলাম বলেন, অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল আবরার। কুষ্টিয়া থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করে, এরপর ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বুয়েটের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগে ভর্তি হয়। তার মৃত্যুতে শুধু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নয়, এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, খুবই ভালো স্বভাবের ছিল আবরার। বাড়িতে থাকাকালীন বাইরে খুব কম যেত, পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ছাড়া বাইরের লোকের সঙ্গে খুব কম মিশত। বইপড়া ছিল তার একমাত্র পছন্দের কাজ। তার সংগ্রহে পাঠ্যবইয়ের বাইরেও বিভিন্ন ধরনের বাংলা-ইংরেজি বই রয়েছে।
জহুরুল ইসলাম জানান, আবরারকে কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। মরদেহ নিতে তার বাবা ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, আবরারের বাবা মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, মা গৃহিণী। পরিবারে তাদের দুই সন্তান। আবরারের ছোট ভাই ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
এমএইচএম/বিএ/জেআইএম