কোম্পানি গঠন করতে পারবে বিআরটিএ
কোম্পানি গঠনের বিধান রেখে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন ‘বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৫’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা কথা জানান। তিনি বলেন, বিআরটিএ’র বর্তমান আইনের ভিত্তি খুব সবল নয়, খুবই অপর্যাপ্ত। ১৯৮৩ সালের মটরযান অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আমাদের সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে। এখন পরিবহন খাতে এত উন্নয়ন হয়েছে, এত বিস্তৃতি হয়েছে যে এ অর্ডিন্যান্স এখন আর পর্যাপ্ত নয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, ‘কাজেই সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে কার্যকরভাবে কাজ করতে গেলে এর আইনি কাঠামোটি শক্তিশালী করার প্রয়োজন আছে। সেই প্রয়োজনীয়তা থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি বিস্তৃত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে।’
এ আইনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মটরযান ও সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে পরিকল্পিত, প্রযুক্তি নির্ভর, টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং দক্ষতর করা।
বর্তমান অর্ডিন্যান্সে সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত মাত্র চারটি ধারা রয়েছে জানিয়ে মোশাররাফ হোসাইন বলেন, ‘নতুন আইনে ২৮টি ধারা ও ৭২টি উপধারা রয়েছে। এর মধ্যে কর্তৃপক্ষের গঠন, কর্তৃপক্ষের উপদেষ্টা পরিষদের গঠন, উপদেষ্টা পরিষদের কার্যাবলী, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, প্রশাসন কিভাবে পরিচালিত হবে, বিভিন্ন কমিটি গঠনের ক্ষমতা, বাজেট, হিসাব ও নিরীক্ষার বিষয়গুলো রয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে ইচ্ছে করলে তার আওতায় কোম্পানি গঠন করতে পারবে। এ মুহুর্তে কোম্পানি হচ্ছে না, কিন্তু কোম্পানি গঠনের সুযোগ এখানে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আইন অনুযায়ী যে উপদেষ্টা পরিষদ হবে সেখানে প্রধান থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, মেয়র, কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা থাকবেন।
এসএ/একে/পিআর