ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গুঁড়া হলুদে রঙ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এখন থেকে গুঁড়া হলুদে কোন প্রকার রঙ ব্যবহার করা যাবে না। এমন নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।

বুধবার এ সংক্রান্ত এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে দেশের হলুদ উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত কোম্পানিগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত হলুদের মধ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় সীসার দূষণ পাওয়া গেছে। এই দূষণগুলো বিভিন্ন ধরনের রঙ থেকে হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার মাধ্যমে দেখতে পেয়েছে হলুদে সাধারণত উজ্জ্বলকারক হিসেবে লেড ক্রোমে যা স্থানভেদে পিউরি, পিপড়ি, বাসন্তি রঙ, কাঠালি বা সরষে ফুল রঙ নামে বিক্রি হয়। আর অবৈধভাবে কোম্পানিগুলো হলুদের গুঁড়ার রঙ উজ্জ্বল করতে এসব রঙ ব্যবহার করে। লেড ক্রোমেট স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিধায় নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুযায়ী সব মসলা উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীকে হলুদ (শুকনো বা গুঁড়া) প্রক্রিয়াজাতকারণে কোন ধরনের রঙ বা উজ্জ্বলকারক ব্যবহার বা সংযোজন বা মিশ্রণে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে রঙে যে সীসা রয়েছে তা একটি বিষ যা স্নায়ু বা মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি করে এবং অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী। এটি বুদ্ধি বিকাশেও ক্ষতিসাধন করে। রক্তে সীসার কোন সহনীয় মাত্রা নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে এর একটি প্রচলিত মাত্রা হলো ৫ মাইক্রোগ্রাম/ডেসি লি। এছাড়া সীসার দূষণের কারণে পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন রোগ তৈরি হতে পারে।

বিএফএসএ বলছে, এই নির্দেশনা কেউ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএফএসএ’র সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহাবুব কবির বলেন, ‘আমরা প্রমাণ পেয়েছি হলুদে বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে। যা সীসার দূষণ যুক্ত। তাই আমরা এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করলাম। কেউ এটা না মানলে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে।’

গণবিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি আইসিডিডিআরবি ও যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক যৌথ গবেষণায় বাংলাদেশের গর্ভবতী নারীদের রক্তে উচ্চমাত্রায় সীসার উপস্থিতি পায়। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার পরবর্তী ধাপে রক্তে সীসার উৎস অনুসন্ধানে দেশের বাজার থেকে হলুদের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা হয়। এসব পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে হলুদে সীসার দূষণের উৎস হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকর রঙ। যা আমাদের হলুদের রঙ উজ্জ্বল করতে উৎপাদকরা ব্যবহার করছে।

এসআই/জেএইচ/এমকেএইচ