বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন না হলে কঠোর কর্মসূচি
বাড়ী ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন ৩০ নভেম্বরের মধ্যে গঠনের দাবী জানিয়েছেন ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির নেতারা। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে ভাড়াটিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (কচি) বলেন, নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করে এই গণবিরোধী ভূমিকা বন্ধ না করলে সরকার শিগগিরই গণবিক্ষোভের মুখে পড়বে। বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠনসহ ৯ দফা দাবি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে না মানলে ৫ ডিসেম্বর লালদীঘি ময়দানে নাগরিক সমাবেশ করার ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে জিম্মিদশায় রয়েছে। নতুন বছর শুরুই হয় ভাড়া বৃদ্ধির আতঙ্ক দিয়ে। এ জন্য আদালত পর্যন্ত যান অল্প কিছু লোক।
বাড়তি ভাড়া দিতে না পারলে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া ছাড়া বাকিদের সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকে না। দেশে বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৯১ সালের একটি পুরোনো আইন আছে। আইনে বলা আছে, ভাড়াটের কাছে কোনো ধরনের জামানত বা কোনো টাকা দাবি করা যাবে না।
এ ছাড়া অগ্রিম হিসেবে এক মাসের ভাড়ার অতিরিক্ত টাকা নেওয়া যাবে না। প্রতি মাসে ভাড়া পরিশোধের রসিদ দিতে হবে। কিন্তু এ আইনকানুনের ধার ধারে না কেউ। আর আইন থেকেও নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৫ বছরে (১৯৯০-২০১১) ৬টি বিভাগীয় শহরে বাড়িভাড়া বেড়েছে প্রায় ২৫০ শতাংশ।
স¤প্রতি বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠনের জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে হাইকোর্ট নির্দেশ প্রদান করলেও এখনও পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। বাড়ি ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধ করতে জাতীয় সংসদে আইন পাস করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১ ও বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ প্রণীত বিধিমালা ১৯৬৪-এ যথাযথ বাস্তবায়ন, কার্যকর ও সংস্কার করতে হবে। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে রাজস্ব বিভাগকে উদ্যোগ এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় মৌজা রেইট নির্ধারণ করে দিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের অধীনে বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়া দ্ব›দ্ব দূর করতে একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তৌকির আহমদ, সহ-সভাপতি এস. এম শাহনেওয়াজ আলী মির্জা, অ্যাড. জোবায়ের বাপ্পী, অ্যাড. সাইদুল করিম মারুফ, সামজাদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন ফয়সাল, এম.এ মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আজিমুল হক খাঁন, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. সোলায়মান, দফতর সম্পাদক মো. জাহেদ, অর্থ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যা.ড. শরীফ উদ্দীন, হাবিব বিন ছাত্তার আরজু, আবদুল আহাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, সওরয়ার ওসমান, প্রচার সম্পাদক মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সহ-প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, নির্বাহী সদস্য নুর মো. ফরিদুল আলম ও রাজু আহমেদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ/পিআর