ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ঈদে ভোগান্তি কমাতে সহায়তা চায় সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

কোরবানির ঈদ উদযাপনে বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে সরকারের অন্য সংস্থাগুলোর সহায়তা চায় সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগ।

এক চিঠিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, সেতু বিভাগ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে,  ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাতে যানজটের তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে চায় সড়ক বিভাগ। সস্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে, জন ভোগান্তি কমাতে ঢাকা মহানগরীর সায়েদাবাদ, মহাখালী, গাবতলী, ও ফুলবাড়ীয়া বাস টার্মিনালের জন্য ৪টি আন্তঃসংস্থা ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। ভিজিলেন্স টিম সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধ, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ও মালমাল বহন বন্ধ, যাত্রী হয়রানি রোধ ইত্যাদি বিষয় তদারকি করবে।

বিআরটিএ, ডিএমপি, সিটি করপোরেশন, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি ভিজিলেন্স টিমে অন্তর্ভূক্ত আছেন। প্রত্যেক বাস টার্মিনালে ভিজিলেন্স টিমের জন্য ব্যানার সম্বলিত একটি কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।

যাত্রীদের সংশ্লিষ্ট টিমের সহায়তা নিতেও অনুরোধ করেছে সড়ক বিভাগ। অন্যদিকে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন ফেরি সার্ভিস এবং মহাসড়ক নেটওয়ার্ক সংরক্ষণ, মেরামত ও সংস্কার করে যানচলাচলের জন্য সম্পূর্ণ উপযুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট সকল প্রকৌশলীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৫টি মনিটরিং টিম এ নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছে। মনিটরিং টিমের কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।

সূত্র বলছে, ঢাকা মহানগরীতে প্রবেশ ও বহির্গমনের মূল সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কমানোর জন্য দু’টি বিকল্প সড়ক চালু রয়েছে। বিকল্প সড়ক দুটি হচ্ছে, হাতিরঝিল-রামপুরা-শেখের জায়গা-আশু-আশুলিয়া সড়ক।

যানজট নিরসনে মহাসড়কে আগামী মঙ্গলবার থেকে ঈদের পরবর্তী ৩ দিন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান এবং লরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পঁচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষধ, কোরবানির পশু, কাঁচা চামড়া এবং জ্বালানী বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।

যানজট এড়ানোর জন্য মহাসড়কের সকল টোলপ্লাজা সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নসিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত যান, ইজিবাইক বা অনুরুপ অননুমোদিত যানবাহন চলাচল বন্ধের নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।  

এবার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর ও অতি সন্নিকটে গরুর হাট বসানোর জন্য ইজারা দেয়া হয়নি। এমনকি এ নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সড়ক পরিবহন বিভাগ তৎপর রয়েছি যাতে মানুষ কোনো ধরণের ভোগান্তি ছাড়া বাড়ি ফিরতে পারে। তবে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেছেন, ঈদে কোনো ভাবেই যানজট ভোগান্তি কমবে না।

এসএ/এসকেডি/এমএস