সংসদের চতুর্থ অধিবেশন চলবে মাত্র ৪ কার্যদিবস
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দুই নেতা দেবর গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও ভাবি রওশন এরশাদের মধ্যে বিরোধের কারণে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচন ছাড়াই সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছে। রোববার ৫টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
এর আগে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই অধিবেশন ১২ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত চলবে। তবে ১১ সেপ্টেম্বর পবিত্র আশুরার ছুটি থাকায় অধিবেশনের কার্যদিবস হবে মাত্র চারদিন। প্রতিদিন সংসদের বৈঠক বিকেল ৫টায় শুরু হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় উপনেতা রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ওবায়দুল কাদের, হাসানুল হক ইনু, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আনিসুল হক, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং আবদুস সাত্তার ভুঞা অংশ নেন। সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান বৈঠকের কার্যপত্র উপস্থাপন করেন।
বৈঠকে জানানো হয়, চতুর্থ অধিবেশনে সংসদে উত্থাপনের জন্য তিনটি সরকারি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়। পূর্বে অনিষ্পন্ন দুটি সরকারি বিল পাসের জন্য কমিটিতে পরীক্ষাধীন রয়েছে। বেসরকারি সদস্যদের নিকট হতে একটি বিলের নোটিশ পাওয়া যায়। পূর্বে প্রাপ্ত ও অনিষ্পন্ন একটি বেসরকারি বিল রয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর জন্য ৭০টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। আর মন্ত্রীর জন্য ১৫৫৩টিসহ মোট ১৬২৩টি প্রশ্ন পাওয়া গেছে। সিদ্ধান্ত প্রস্তাব (বিধি ১৩১) পাওয়া গেছে ১০৯টি, মুলতবি প্রস্তাবের সংখ্যা (বিধি ৬২) ১৫টি ও মনোযোগ আকর্ষণের নোটিশ (বিধি ৭১) ৬০টি পাওয়া গেছে।
সংসদের আইন শাখা সূত্র জানায়, এই অধিবেশনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল, ২০১৯ পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। আর দুটি বিল উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য সংসদীয় কমিটিতে আছে।
এগুলো হলো বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৯ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল, ২০১৯। এছাড়াও আরও নতুন বিল আসতে পারে সংসদে।
জানা যায়, এর আগে সংসদের বাজেট ও তৃতীয় অধিবেশন গত ১২ জুলাই শেষ হয়। সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন আহ্বানের বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে।
এইচএস/বিএ/পিআর