খাদ্যের নিরাপত্তায় হলো ‘স্পর্শক প্রবিধানমালা’
খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবার ‘খাদ্য স্পর্শক প্রবিধানমালা, ২০১৯’ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার প্রবিধানমালার আদেশ জারি করা হয়।
প্রবিধানমালা অনুযায়ী ‘খাদ্য স্পর্শক’ অর্থ এমন কোনো উপকরণ যা ইতোমধ্যে খাদ্যের সংস্পর্শে এসেছে বা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
খাদ্যের সংস্পর্শে আসে, খাদ্যের সংস্পর্শে এসেছে, খাদ্যের সংস্পর্শে আসার উপযুক্ত কারণ বা সম্ভাবনা রয়েছে, কোনো বস্তুর সাধারণ বা দূরবর্তী ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্যের গুণগতমান পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে এমন ক্ষেত্রে এ প্রবিধানমালা প্রযোজ্য হবে।
তবে প্রাচীন নিদর্শন, কোনো বস্তুর আবরণ, আচ্ছাদন বা সর্বসাধারণের পানি সরবরাহের স্থায়ী ব্যবস্থায় ব্যবহৃত উপকরণ বা বস্তুর ক্ষেত্রে এ প্রবিধানমালা প্রযোজ্য হবে না।
গঠনের পর প্রয়োজনীয় বিধি-বিধানের অভাবে এখনও কার্যকর হয়ে ওঠেনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। খাদ্য দূষণের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি বিধিমালা ও প্রবিধানমালা প্রণয়ন করেছে কর্তৃপক্ষ।
খাদ্য স্পর্শক প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, খাদ্য স্পর্শক উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল স্বাস্থ্যসম্মত ও কারিগরি মানসম্পন্ন হতে হবে। খাদ্য স্পর্শকে ব্যবহৃত উপকরণের উৎস সংক্রান্ত কাগজপত্র খাদ্য স্পর্শকের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৩ মাস পর্যন্ত খাদ্য স্পর্শক ব্যবসায়ী সংরক্ষণ করবে।
খাদ্য স্পর্শকের অনুমোদিত ব্যবহার সম্পর্কিত তথ্য লেবেলে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। খাদ্যদ্রব্যের অভোজ্য অংশের ঘোষণা প্রবিধানমালায় উল্লিখিত চিহ্নের মাধ্যমে দিতে হবে।
প্রবিধিমালায় বলা হয়েছে, খাদ্য স্পর্শকের উৎপাদন, আমদানি ও বিতরণের যে কোনো পর্যায়ে এর মান যাচাইয়ের জন্য নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যে কোনো খাদ্য স্পর্শক স্থাপনা ও খাদ্য-স্থাপনা পরিদর্শন করতে পারবে।
খাদ্য স্পর্শক স্থাপনা ও খাদ্য-স্থাপনা পরিদর্শনকালে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের কাছে যদি এটা প্রতীয়মান হয় যে, খাদ্য স্পর্শক ব্যবসায়ী বা তার কোনো প্রতিনিধি, খাদ্যকর্মী বা কর্মচারী প্রবিধানমালার প্রযোজ্য শর্তাবলি প্রতিপালন করছে না, তাহলে ওই খাদ্য স্পর্শক ব্যবসায়ী বা খাদ্য ব্যবসায়ীকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই শর্ত প্রতিপালনের জন্য নোটিশ দেবে।
আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম