উন্নত দেশের জীবনযাত্রার মান গ্রামে নিয়ে যেতে পারব
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আমরা শুধু স্বাধীনতা অর্জন করিনি, দারিদ্র মোকাবিলা করেছি। আমরা কূপমণ্ডুকতা ভাঙার চেষ্টা করছি। আমরা সার্বিকভাবে জাতীয় সংস্কার করছি। ফলে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হবে এবং যেটুকু জীবনযাত্রার মান প্রয়োজন হয় পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে, সভ্য দেশগুলোতে -সেগুলো আমরা আমাদের গ্রামে নিয়ে যেতে পারব।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত এক কনফারেন্সে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামে সেবা দিতে হবে। এ দেশে গ্রামে সেবা দেয়ার ধারণা আগে ছিল না। গ্রাম আর শহরের মাঝে একটা বিভাজন ছিল। গ্রামকে মনে করা হতো গ্রাম, ওটা পরে। শহরে বাবুরা থাকতেন, বাবুদের সেবা আগে করতে হবে। এ ধারণা পাল্টে গেছে। উপনিবেশিক শক্তি যাওয়ার পর, স্বাধীনতার পর এখন সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে। তার মানে গ্রামের শেষ ব্যক্তি যিনি আছেন, তাকেও সঙ্গে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ নিয়ে যেতে হবে। বিদ্যুৎ শুধু ঢাকায়, খুলনায়, চট্টগ্রামে, সিলেটে হবে -এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু এতদিন তাই ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ধারণাকে পাল্টে দিয়েছেন, ভেঙে দিয়েছেন।
এম এ মান্নান বলেন, এর জন্য পরিষ্কার পানির ব্যবস্থা করতে হবে। সেনিটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। শিশুর জন্য হামের টিকা দিতে হবে। শিশুকে স্কুলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। শিশুর হাতে বই তুলে দিতে হবে। গ্রামের স্ত্রী, কন্যারা যাতে ঘরের কাছে ক্লিনিক পায়, যেখানে যেন সবকিছু নিরাপদে নির্বিঘ্নে বলতে পারে -সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এটা বর্তমান সরকারের মূল কথা। এর জন্য প্রয়োজন সবার সহযোগিতা এবং একটি স্থিতিশীল পরিবেশ। এখন হয়তো অনেকেই ভুল বুঝতে পারেন, আমরা বোধহয় চিরদিন মন্ত্রী থাকার জন্য এ কথা বলছি। এটা সম্ভব নয়। পাঁচ বছর পর পর আমরা আপনাদের দরজায় অবশ্যই যাব এবং আপনারা আপনাদের বিচার করবেন। আমরা জনগণের বিচার মানতে বাধ্য।
‘সাবন্যাশনাল ফাইন্যান্স অ্যান্ড লোকা সার্ভিস ডেলিভারি’ শীর্ষক চতুর্থ দক্ষিণ এশিয়া ইকোনমিক নেটওয়ার্ক এ কনফারেন্সে অন্যান্যদের মাঝে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান ইকোনমিস্ট হেন্স টিমার, বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়াঙ টেমবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সেলিম রায়হান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পিডি/আরএস/জেআইএম