বাদ পড়া বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশা নির্মূলে ডিএনসিসির ‘চিরুনি অভিযান’

বাদপড়া বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশা নির্মূলে চিরুনি অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

২৫ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিএনসিসির ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ অভিযান চালানো হয়। চিরুনি অভিযানকালে বিভিন্ন কারণে কিছু বাড়ি ও স্থাপনা বাদ পড়ে। এ সব বাড়ি-স্থাপনায় চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে। আগামীকালও অভিযান চলবে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধনকর্মীরা পড়া ডিএনসিসির ৩৬টি ওয়ার্ডে বাদপড়া ৭ হাজার ২৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পায়। লার্ভা পাওয়া এসব বাড়ি ও স্থাপনায় ‘এ বাড়ি-স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া ৪ হাজার ৩৯৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান ও জমে থাকা পানি পাওয়া যায়।

২৫ আগস্ট থেকে গত ১১ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ১৪ হাজার ১০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ৯১৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা খুঁজে পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬২ হাজার ৪১২টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী স্থান ও জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। সেসব স্থানগুলো ধ্বংস করে লার্ভিসাইড প্রয়োগ করা হয়।

চিরুনি অভিযানকালে মাটির পাত্র, ফুলের টব, পানির ট্যাংকের নিচ, ড্রাম, চিপসের প্যাকেট, পরিত্যক্ত পানির হাউস, কলসি, পরিত্যক্ত বেসিন, কমোড ও টয়লেটের ফ্লাশ, বালতি, টায়ার, খাবারের প্লাস্টিক-প্যাকেট, লিফটের নিচ, নির্মাণাধীন ভবন, ডোবা, পলিথিন, ডাবের খোসা, নিচু জায়গা, ছোট পাত্র, নারিকেলের মালা, পানির ড্রাম, মাটির হাড়ি, প্লাস্টিকের পাত্র, বাড়ির ছাদ, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান, ওয়াসার মিটার, গ্যারেজ ইত্যাদি জায়গায় এডিস মশার লার্ভা এবং এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পান পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিধনকর্মীরা।

এডিস মশা নির্মূলে আজও ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত ছিল। মিরপুরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শফিউল আজম ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এডিস মশা নির্মূলে বছরব্যাপী ডিএনসিসির কর্মসূচি ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এএস/এসআর/পিআর