ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

১ দিনে চসিকের ২২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১২:০৮ পিএম, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) রাজস্ব শাখার ২২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একসঙ্গে বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ বদলি আদেশ জারি করা হয়। যাদেরকে বদলি করা হয়েছে তারা সবাই রাজস্ব শাখার বিভিন্ন সার্কেলে কর্মরত। তাদেরকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবারই প্রথম একসঙ্গে চসিকের এতো সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করা হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা জানান, বদলি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবাই দীর্ঘদিন ধরে এক জায়গায় কর্মরত ছিলেন। এ কারণে করদাতাদের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সখ্য গড়ে উঠেছিল। ফলে বিভিন্ন সার্কেলে এ কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। পাশাপাশি নানারকম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। এ জন্যই বদলির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, রাজস্ব শাখার অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী হোল্ডিং মালিক এবং ট্রেড লাইসেন্সধারীদের কাছে সময়মতো ডিমান্ড নোট বা বিল জারিও করেন না। এতে অনেক ভবন মালিক তার ওপর ধার্য কর সম্পর্কেও অবগত নন। ফলে পৌরকর পরিশোধ করা নিয়ে তাদের মধ্যে তেমন আগ্রহও দেখা যায় না। এছাড়া পৌরকর আদায়ের নির্ধারিত টার্গেটও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন রাজস্ব শাখার এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী।

রাজস্ব শাখা সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরের ১ জুলাই থেকে গত ১৮ আগস্ট পর্যন্ত রাজস্ব শাখার প্রতিটি সার্কেলের কাজ নিয়ে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন তৈরি হয়। এতে বলা হয়েছে, বিল জারি ও হোল্ডিং কর আদায়ের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম। ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শতভাগ বিল জারির টার্গেট থাকলেও কর কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গাফিলতি দেখিয়েছেন। এছাড়া চলতি কোয়ার্টারে গৃহকর আদায়ের টার্গেট শতকরা ২৫ ভাগ ধার্য থাকলেও কোনো সার্কেলই এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি।

আবু আজাদ/এমএসএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন