বাড়ি বেহাতের আশঙ্কা সায়েরা খাতুনের
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় দুষ্কৃতকারীরা ৪ কাঠা জমির ওপর ছয়তলা বাড়ি দখলের পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন সায়েরা খাতুন নামে এক নারী। এছাড়া স্বামী মো. আলমগীর হোসেনকে মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।
এসব অভিযোগ জানিয়ে রাজধানীর ডেমরার মাতুয়াইল নিউ আবাসিক এলাকার হাজি বাদশা মিয়া রোডের বাসিন্দা ওই নারী মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সায়েরা খাতুন বলেন, ‘অসহায় পাঁচটি কন্যাসন্তানসহ আপনাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসেছি মানবিক সাহায্যের জন্য। আমার স্বামী একজন ডেভেলপার ব্যবসায়ী। আমার পাঁচ মেয়ে সন্তান। আমার স্বামীর মাতুয়াইলে ৪ কাঠা জমির ওপর সাড়ে ছয়তলা একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়িতে স্বামী-সন্তানসহ তৃতীয় তলায় বসবাস করি। অপর ফ্লোরগুলো ভাড়া দেয়া আছে।’
স্বামীর পরিচিত নেছার উদ্দিন খোকন, ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম শহিদ, আবু তাহের তার স্বামীকে গত ৬ আগস্ট অপহরণ করে দাবি জানিয়ে সায়েরা খাতুন বলেন, ‘শ্যামপুর থানায় জিডি করতে গেলে তারা প্রথমে জিডি করতে গড়িমসি করে। পরে আমি আমার স্বামীকে খোঁজাখুঁজি করে কদমতলী থানায় গিয়ে দেখা করি এবং জানতে পারি এক লোমহর্ষক হৃদয়বিদারক কাহিনি।’
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় নেছার উদ্দিন ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি রেজিস্ট্রেশন করে নেয়। এরপর নেছার উদ্দিন মিথ্যা ও বানোয়াট একটি মামলা দিয়ে জেলখানায় পাঠায়। বর্তমানে আমার স্বামী আলমগীর ও তার ব্যবসায়িক পাটনার সুমন কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেছার উদ্দিন আমার বসতবাড়ি থেকে অসহায় পাঁচ কন্যাসন্তানসহ উচ্ছেদের জন্য পাঁয়তারা করছে এবং প্রতিদিন লোকজন নিয়ে বাড়ির আশপাশে মহড়া দিচ্ছে। সেই সঙ্গে এলাকাবাসীকে বলে বেড়াচ্ছে যে, সে বাড়িটি ক্রয় করেছে এবং কয়েক দিনের মধ্যে বাড়ি দখল করে নেবে।’
এ অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ওই নারী।
আরএমএম/এমএসএইচ/জেআইএম