‘বায়রার সভাপতি স্বেচ্ছাচার, মহাসচিব এনজিওর দালাল’
জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মহাসচিব মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমানকে এনজিওর দালাল বলে অভিহিত করেছেন বায়রার সহ-সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
তাদের অভিযোগ তিনি (শামীম আহমেদ চৌধুরী) বায়রার সদস্যদের স্বার্থ না দেখে এনজিওর দালালি করেন। প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি দিয়ে ব্যবসা করেন। এ কারণে ২৭ সদস্যেরর কমিটির ১৪ জন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে।
তাদের অভিযোগ থেকে রেহাই পাননি বায়রা সভাপতি আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারি বেনজির আহমেদও। তারা বলেন, গত ছয় বছর যাবত তিনি রিক্রুটিং ব্যবসায় নামলেও তার এজেন্সির মাধ্যমে একজন লোককেও বিদেশে পাঠাননি। উনার কপাল ভালো যে এমপি হয়েছেন। প্রাসাদসম ষড়যন্ত্র করে ভোট ছিনিয়ে তাকে বায়রার সভাপতি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বায়রা কার্য়ালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তারা এ অভিযোগ করেন। এদিন সকালে মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবের শ্রমবাজার নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভা আহ্বান করেন বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ। এ সভার ব্যাপারে বায়রার একাধিক সহ-সভাপতি ও অর্থ সম্পাদকসহ ডজনখানেকেরও বেশি কেন্দ্রীয় নেতাকে জানানো না হলেও তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন।
বায়রা সভাপতি ও মহাসচিবের বক্তব্য শেষে গণমাধ্যম কর্মীরা বায়রার নেতাদের কোন্দল, তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বহিষ্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে বায়রা সভাপতি তাদের মাইক দেননি।
বায়রা সভাপতি মতবিনিময় সভার পরে প্রয়োজনে মিডিয়া বক্তব্য গ্রহণ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করে।
বায়রা সভাপতি ও মহাসচিব চলে যাওয়ার পর সহ-সভাপতি-১ মনসুর আহমেদ কালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজসহ একাধিক বায়রা নেতা সভাপতি ও মহাসচিবের স্বেচ্ছাচারিতার বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা বলেন, সভাপতি ও মহাসচিব সাধারণ সদস্যের স্বার্থ না দেখে সুকৌশলে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়াতে লোক পাঠানোর ব্যবসা কুক্ষিগত করতে চক্রান্ত করছে। এর আগে আড়াই লোক মালয়েশিয়াতে পাঠালেও ১০ লাখ মানুষের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা করে নিয়েছে। যে মেডিকেল টেস্ট ৫০০ টাকার মধ্যে করা সম্ভব বলে জানান তারা।
এমইউ/এএইচ/এমকেএইচ