ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য হুমকি

প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনসহ ওই এলাকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছে সাউথ এশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এসএএইচআর) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকার মানবাধিকার ও পরিবেশগত প্রভাব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ।

সংস্থাটির বাংলাদেশ-এর ব্যুরো সদস্য খুশী কবির বলেন, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলতি বছরের ৫ থেকে ১২ এপ্রিল একটি তথ্যানুসন্ধানী দল বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা প্রকল্পসম্পৃক্ত সরকারি বেসরকারি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিদের পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার ভুক্তভোগী গ্রামবাসী, পরিবেশবিদ, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেন।

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে বাংলাদেশের সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবনসহ ওই এলাকার প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে টিআইবির সভাপতি অ্যাড. সুলতানা কামাল বলেন, যে সরকার নিজেদেরকে আধুনিক ও গণতান্ত্রিক সরকার মনে করে তাদের নিকট থেকে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে এমন কাজ গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

তিনি বলেন, প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে এমন কাজ এই সরকার বাস্তবায়ন করলে তারা নিজেদের অঙ্গিকারকে নিজেরাই ভঙ্গ করবে।

এসময় টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় সরকারের ক্ষমতার ভিত্তি আজ জনগণের নিকট থেকে দূরে সরে গেছে যাকে পূঁজি করে বিশেষ ধরনের জনগোষ্ঠী তাদের স্বার্থ হাসিল করছে।

তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আন্তর্জাতিক জাতীয় সকল আইন ভঙ্গ করে সরকার রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প পথ আছে কিন্তু সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই তাই যে কোন মূল্যে এটিকে রক্ষা করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ আন্দোলন-বাপা’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদ, সাউথ এশিয়ান ফর হিউম্যান রাইটস-এর সদস্য শরীফ জামিল, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ড. আব্দুল মতিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তানজীম উদ্দিন খান প্রমুখ।

আএসএস/এসকেডি