ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

১৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি, দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০১:৩০ পিএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে মিথ্যা ঘোষণায় দুই কনটেইনার সিগারেট আমদানির অভিযোগে দুই আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম। ‘গ্রাম বাংলা ফুডস’ ও ‘এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ’ প্রতিষ্ঠানের নামে এই সিগারেট আমদানি করা হয়।

আসামিরা হলেন-মো. আবদুল বারিক, কবির হোসেন, দেওয়ান বুলবুল ইসলাম, নুর আল মামুন ও আউলাদ জান চৌধুরী। আসামিদের সবাই নিজেদের ‘গ্রাম বাংলা ফুডস’ ও ‘এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ’ নামের অস্তিত্বহীন দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও মালিক পরিচয়ে এলসি (ঋণপত্র) খুলেছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টম সূত্র বলছে, ওই দুই কনটেইনার সিগারেট আমদানির মাধ্যমে ১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়া হয়েছে।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি জাগো নিউজকে জানান চট্টগ্রাম কাস্টমের ডেপুটি কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল ও ৬ মে মিথ্যা ঘোষণায় আনা দুই কন্টেইনার থেকে আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টম। এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট ১৩ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে নগরের বন্দর থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

কাস্টম সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৮ এপ্রিল ২০ ফুট দীর্ঘ একটি কনটেইনারে দুটি ব্র্যান্ডের ৬ লাখ ৩০ হাজার সিগারেটের প্যাকেট এবং ১ কোটি ৩০ লাখ শলাকা পাওয়া যায়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘৩৬০ বেল্ট ফেল্ট’ নামে ফোম জাতীয় পণ্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে এই সিগারেট এনেছিল। পরে ৬ মে ৪০ ফুট দীর্ঘ আরও একটি কনটেইনার আটক করেন কাস্টম কর্মকর্তারা। ‘প্রিন্টিং অ্যাক্সেসরিজ’ এবং ‘প্যাকিং ব্যাগ’ ঘোষণা দিয়ে ওই কনটেইনারে বেনসন অ্যান্ড হেজেস, ব্ল্যাক, ডানহিল ব্র্যান্ডের সিগারেট আমদানি করা হয়েছিল।

ডেপুটি কমিশনার নূর উদ্দিন মিলন বলেন, সিঙ্গাপুরের ‘শ্রী ভারি ইন্টারন্যাশনাল’ থেকে এ দুটি কনটেইনার আমদানি করেছিল বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান ‘গ্রাম বাংলা ফুডস’ ও ‘এন ইসলাম এন্টারপ্রাইজ’। কিন্তু আমরা ঘটনার তদন্তে নেমে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কোনো হদিস পায়নি। তাই ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র তৈরিতে সাহায্য করেছে এমন পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে আমরা মামলা দায়ের করি। আজ মামলার নম্বর (৪৪ ও ৪৫) পেয়েছি।

এসআর/পিআর

আরও পড়ুন