স্থানীয়রা বিরক্ত হলে জটিল হবে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছিল। স্থানীয়রাও তাদের সাদরে গ্রহণ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে স্থানীয়রা তাদের (রোহিঙ্গা) ওপর বিরক্ত। এ বিরক্তভাব যদি বিক্ষোভে রূপ নেয় তবে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করবে।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি- বাচসাসের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
‘রোহিঙ্গা’ বিষয়ে সরকার ব্যর্থ হয়েছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে যাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো যায় না। এ কথাটা মনে হয় মির্জা ফখরুল সাহেবরা বুঝতে পারছেন না।
মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। তবে তাদের দীর্ঘসময়ের জন্য আশ্রয় দেয়া হয়নি। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বও এ ব্যাপারে তাদের অব্যাহতভাবে চাপ দিচ্ছে। সবমিলিয়ে আমরা আশা করছি, খুব সহসাই প্রত্যাবাসন শুরু হবে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ‘গণহত্যা অভিপ্রায়’ নিয়ে সামরিক অভিযান চালিয়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দেয় মিয়ানমার। পরে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস। মিয়ানমার ১৯৮২ সালে সাংবিধানিক সংশোধনীর মাধ্যমে নাগরিকত্ব বাতিল করার পর রোহিঙ্গারা রাষ্ট্রহীন বলে বিবেচিত।
গত ২২ আগস্টসহ পরপর দুবার তাদের ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিলেও নাগরিকত্বসহ সার্বিক অধিকার ও নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে কোনো রোহিঙ্গা যেতে রাজি হয়নি। ফলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সম্পাদিত প্রত্যাবাসন চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিশেষত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা- ইউএনএইচসিআরকে রাখাইন রাজ্যে কাজ করার জন্য এখনও ‘কার্যকর প্রবেশাধিকার’ দেয়নি মিয়ানমার।
এমইউএইচ/এমএআর/জেআইএম