মুহিতের শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা নিয়ে টিআইবির ভয়
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির যে সুবিধা এনবিআর দিয়েছে তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
গত ১৯ আগস্ট এনবিআরের এক বিশেষ আদেশে সংসদ সদস্য না হয়েও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে ল্যান্ড ক্রুজার আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হয়। ‘বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে’ শর্তসাপেক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে এ সুবিধা দিয়েছে।
সংস্থাটি আশংকা করছে, এ সুবিধা গ্রহণে সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্বচ্ছতা ও সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। অপরদিকে ভবিষ্যতে অন্যদেরও এ ধরনের সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করার ঝুঁকি তৈরি করবে। সে ক্ষেত্রে এটি একটি চর্চায় রূপান্তরিত হতে পারে। সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে এ সুবিধা গ্রহণ না করলেও বর্তমানে সংসদ সদস্য না হয়েও তা গ্রহণ নৈতিক বিবেচনায় প্রশ্নবিদ্ধ এবং তার সুনামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে না। তাই এ সুবিধা গ্রহণ না করে নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, এনবিআর থেকে জারিকৃত এক বিশেষ আদেশে পরপর দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এ সুযোগ গ্রহণ না করার যুক্তিতে ‘বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে শর্তসাপেক্ষে এ সুবিধা’ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তিনি সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী থাকা অবস্থায় বিগত সরকারের শেষ সময়ে এ অবেদন করেন বলে এনবিআর সূত্রে জানানো হয়।
রোববার (২৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এনবিআরের এ বিশেষ আদেশটি যৌক্তিক বিবেচিত হলেও সংসদ সদস্য না হয়ে এ ধরনের সুবিধা গ্রহণ নৈতিক দিক থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্বচ্ছতা ও সুনামকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। অপরদিকে ভবিষ্যতে অন্যদেরও এ ধরনের সুবিধা গ্রহণে উৎসাহিত করার ঝুঁকি তৈরি করবে। সে ক্ষেত্রে এটি একটি চর্চায় রূপান্তরিত হতে পারে। ইতিপূর্বে সাবেক অর্থমন্ত্রী স্বপ্রণোদিত হয়ে তার ব্যক্তিগত সম্পদ বিবরণী ও আয়কর তথ্য প্রকাশ, শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা গ্রহণ না করা ইত্যাদির জন্য রাষ্ট্রীয় পদে থেকে সুনাম অর্জন করেছেন। অবসর মেয়াদে উল্লিখিত বিশেষ সুবিধা গ্রহণ নৈতিকভাবে সাবেক অর্থমন্ত্রীর অর্জিত সুনামের সঙ্গে মানানসই হবে না।’
ড. জামান আরও বলেন, ‘শুল্কমুক্ত বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি সংসদ সদস্যদের জন্য এমনিতেই একটি বিতর্কিত সুবিধা। তদুপরি গাড়ি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার মত কোনো পদে না থেকে এ সুবিধা গ্রহণের উদাহরণ স্থাপন করে ভবিষ্যতে এর অপব্যবহারের ঝুঁকি সৃষ্টিতে অনুঘটকের ভূমিকা পালন থেকে সাবেক অর্থমন্ত্রী বিরত থাকবেন বলে দেশবাসী তার নিকট আশা করেন।’
এএইচ/জেআইএম