কিশোর গ্রুপ স্টার বন্ডের ১৭ সদস্যের কারাদণ্ড
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্রুপ স্টার বন্ডের ১৭ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পরে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এক বছর করে কারাদণ্ড দেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালায় র্যাব-২। আটককৃতদের প্রত্যেকের চুলের কাটিং, পোশাক ও জুতা একই ধরনের। যে কেউ দেখলে সহজেই বুঝতে পারবে তারা একই গ্রুপের সদস্য।
অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক প্রত্যেককে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পর টঙ্গী কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আটকৃতরা হলেন, মো. জিসান (১৪), রায়হান (১৫), রাসেল হাওলাদার (১৬), সাদ্দাম হোসেন (১৬), বাপ্পি হোসেন (১৭), শাকিল বেপারী (১৬), সোহাগ শেখ (১৬), হৃদয় হোসেন (১৪), সাব্বরি হাওলাদার (১৬), রাব্বি হাওলাদার (১৭), নাঈম (১৬), মুন্না (১৬), সোহাগ (১৭), সাগর (১৬), সাব্বর প্রং সাব্বির বয়ান (১৬), মো. মহিউদ্দীন (২৫) ও রনি হোসেন (২২)।
এ ব্যাপারে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, গত এক বছর আগে ‘মোল্লা রাব্বি’ নামে কিশোর গ্রুপের হামলায় ‘স্টার বন্ড’ গ্রুপের এক সদস্য নিহত হয়। গত শুক্রবার ছিল নিহত ওই কিশোরের মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ‘স্টার বন্ড’ গ্রুপ মসজিদে মিলাদের আয়োজন করে এবং মিলাদের ছবি ‘স্টার বন্ড’ গ্রুপের ফেইসবুক গ্রুপে পোস্ট করার পর ‘মোল্লা রাব্বি’ হা হা হা রিয়েকশন দেয়। তা দেখেই স্টার বন্ড গ্রুপের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে চাপাতি, হাঁসুয়া, ছুরি নিয়ে দলবলে মোল্লা রাব্বি গ্রুপের উপর হামলার উদ্দেশ্যে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় সমবেত হয়।
ওইদিন জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার নিরাপত্তা টহলে নিয়োজিত ছিল র্যাব-২ ব্যাটালিয়নের কয়েকটি দল। স্টার বন্ড গ্রুপের সদস্যদের সশস্ত্র অবস্থান দেখে সাদা পোশাকের র্যাবের দুই সদস্য তাদের জিজ্ঞাসা করলে কোপানোর উদ্দেশ্যে তাদের ধাওয়া করে কিশোররা। তবে ভাগ্যক্রমে সাদা পোশাকের র্যাবের ওই দুই সদস্য সেখান থেকে নিরাপদে ফিরেন। এরপর শনিবার বেলা ১১টা থেকে স্টার বন্ড গ্রুপের সদস্যদের ধরতে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে মোহাম্মদপুর এলাকার পৃথক তিন স্থান থেকে কিশোর গ্রুপের ১৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
সারওয়ার আলম বলেন, গ্রেফতার প্রত্যেক কিশোরই মাদক সেবন ও বিক্রি এবং ছিনতাইয়ে জড়িত। এছাড়া দুই কিশোর গ্রুপের দ্বন্দ্বের কারণে এলাকায় অরাজকতা ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করতো। প্রত্যেকে মাদক বিক্রি ও সেবনসহ ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়ে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। মোল্লা রাব্বি গ্রুপের সদস্যদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
জেইউ/এএইচ/জেআইএম